এক মুঠো উলঙ্গ রোদ, আমার পাতানো আঙিনায়
সকাল হতে সন্ধ্যাবদি খেলা করে।
অবশ্য, মাঝে-মাঝে মেঘেরা হানা দেয়;
নেকড়ের পালের মতো-
রোদেরা ভয়ে ছুটাছুটি করে, হয় অন্তরিন।
নিস্তেজ হয়ে যায়; মৃত প্রাণীর মৃত্যু-স্বাদের মতো।
ঘাম ঝরা দিয়ে শেষ ঝাঁকুনির মতো….
কোমায় থাকে কতক্ষণ।
আবার জাগে, নেশাগ্রস্ত মাতালের মতো।
কখনো গর্জে উঠে; যেন পাতালপুরীর-
ঘুমিয়ে থাকা একচোখো দৈত্যের মতো।


রোদেরা যখন খেলা করে, তখন সরে আসি
যদি, ও-লজ্জা পায়; না হয় আমি নিজেই।
সকালের রোদ তুলতুলে নরম, মিষ্টি; আমাকে ডাকে!
আমিও যাই, যদি সময় পাই তবে।
যতক্ষণ খেলা করি ঠিক পোষা রিণির মতো-
গায়ে ডলাডলি দেয়, আমিও মেখে লই।
সময়ের আবর্তে ও রুক্ষ হয়ে যায়।
ঠিক, অভুক্ত হায়েনার মতো-
কাঁচা রোদগুলি আস্তে-আস্তে হিংস্র হয়।
আমি দূরে সরে যেতে থাকি-
ঠিক, নারীখাদক ধর্ষকামীর হাত হতে
ধর্ষিতার পলায়ন যেমন।


বিকেলে বা গোধূলি লগ্নে তারও মরণ হয়;
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই। যেমন আমারও হয়।