মায়ানমারে মানবতা কাঁদে, হাসে বৌদ্ধ ভিক্ষুর দল-
ধর্মের লেবাসে রাষ্ট্র পেতেছে মুসলিম তাড়ানোর ছল।
অসহায় নারীর সতীত্ব নিয়েছে, পুড়িয়ে মেরেছে শিশু;
ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দিয়ে অস্ত্র হাতে সেনা নিয়েছে পিছু।


দম্ভভরে বলছে জোরে,-‘‘ওরা নয় এ দেশের সন্তান-
ওরা ভিনদেশী-ওরা বাঙালী, ওরা চিরশত্রু মুসলমান।
ওরা রোহিঙ্গা-ওরা বিভীষণ, ওদের নেই কোন ক্ষমা;
ওদের আটকে দাও, ওরা অনাচারীর প্রতিবাদী বোমা।
ওদের ইমানী বল ভেঙে দেয় ছল, উঁচু-নিচু ভেদাভেদ;
এখনি থামাও-ওদের মার, বাড়ন্ত জাতিরে কর ছেদ।’’
অমানুষ বলেই এমন ভাবিস, বাহিরে পৈশাচিক কর্ম;
মিথ্যা কি তোর অহিংস বাণী মিথ্যা কি তোর ধর্ম?


অহিংসবানীর মোড়ানো মোড়কে ছড়াও হিংসার বীজ-
জাতিগত হীনতায় লজ্জা পাবে কি পরমব্রহ্ম-বুদ্ধ নিজ?
আজ মিথ্যার ধর্ম ছলা-কলা দিয়ে মানবতারে মার-
শক্তি আছে বলেই কি দুর্বলেরে নির্বিচারে মারতে পার?


তুমি নহে ধার্মিক-নহে মানুষ, তোমরা হলে নরাধম;
ধর্মের গায়ে কলঙ্ক লেপেছো, তোমরা মানবতার যম।
ধিক্ তুমি ক্ষীয়মান কাপুরুষ, জ্বলন্ত দোজখের কীট-
লেবাসধারী কেমন ধার্মিক তুমি? ধর্মকেই করছো টিট।