সোনালী দরজা হাতছানি দেয়, ডাকে মোরে
যখন বসি আনমনে ভাবি নিরালায়;
ভগ্নধ্যানে চমকে উঠি, নয়নে ভাসে ঐ দূরে
আবছায়ে হেসে-হেসে আড়ালে পালায়।


আর বলে এসো, দ্রুত বা ধীর পায়ে হেথায়
হবেই আসতে, এখন না হয় পরবেলা;
অন্তিমকালের উন্মুখ একটি সোনালী দরজায়
যখন সাঙ্গ হবে ভবের-ই রঙিন খেলা।


কালান্তে কী ঘটে, কেমনে খোলস ছাড়ি
অখোল সত্তায় অনুবোধ কতটুকু হবে?
দেহপাতের অনুপ-শিহরণ সে যে ভয়ংকরী
রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ছুটাছুটি ধ্বংস বয়ে যাবে।


সোনালী দরজা বিদেহী সত্তার পারাবারে
একূল ছাড়ি ওকূল পাড়ি দেয় যে তরী;
বেলা যায় কুহেলী আসে ছেয়ে অবেলারে
স্বপ্ন ভাঙে, যখন সোনালী দরজা ধরি।