বাজায়ো না ঐ বসন্ত বাঁশরী গভীর নিশি রাতে;
কে-বা বাজাও বাঁশীওয়ালা বাঁশের বাঁশী হাতে।


এমনিতেই সুখ-বসন্ত, সুখ পাখিটা উড়ে-
উড়নচণ্ডী মনটা পাগল বাঁশের বাঁশীর সুরে।
ঔ বাঁশীতে কি মাখা আছে যাদু
মনহারানোর সাধন যোগীর সাধু;
বল-না আমায় মন কাড়িলে কোন দোষের সাথে?


নিঝুম রাতের নীরবতা বাঁশীওয়ালা ভাঙে-
যাদুর ফুঁ’তে আগুন জ্বলে আমার সারা অঙ্গে।
ও তার ফুৎকারে জ্বলে দাউ-দাউ
বাঁশী থামায়ে মনের জালা নিভাও;
শুধু-শুধু কেন কালিনীর সুখ চাও কেড়ে নিতে?


এসেছে বসন্তকাল ডাকিল দিনের কোকিলে-
রাতের বাঁশীওয়ালা তুমি হৃদয়ে হানা দিলে।
ঘুমে লেগেছে নিশি কালের ঘোর
জাগিলে কেমনে উঠিব প্রাতঃভোর;
না-হয় হৃদয় ভেঙে যাবে অপবাদের আঘাতে।