মা দিবসে-বাবা দিবসে স্মরণিকায় লিখে দাও ভরি;
আকুলি-বিকুলি ভার্চুয়াল জগতে কত যে কিছু করি।
পাশের বিছানায় বাবা কাঁদে- ‘বাঁচেনা-গো ব্যথায়’
আর ধমক দিয়ে থামাও তারে রুক্ষ-কঠিন কথায়।
একটু সুখ-আনন্দের লাগি বাবা-মায়েরে কর পর।।
বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালে তুমি, অথচ তার লও না খবর।


বাহ। কি নিদারুণ ভালবাসার জানান দিই মোরা;
বাবা-মায়েরে দূরে ঠেলে অনুতাপের দিই জোড়া।
আর বলি,-ভালবাসি, বাবা ভালবাসি দেখ কত;
তোমার জন্য বিশেষ দিনে ফুল দিয়ে ভরি শত।
অনুযোগে বাবা বলে, মোরে তুলে নাও হে ঈশ্বর।
কেমন ছেলে দিলে মোরে নেয় না বাবার খবর।


মায়া-মমতা-স্নেহের বন্ধন দিনে-দিনে হয়ে ঢিলা;
নাড়িছেঁড়া ধন বিচ্ছেদ ঘটায় কেমন ভবের লীলা?
জন্ম নিলে-জন্ম দিলে, দু’য়ে-দু’য়ে কত ফাঁক;
পিতার স্নেহ কেড়ে নিয়ে তুমি পুত্রকে দিলে বেবাক।
ঐ পুত্রের পিতা তুমিও, সে ছাড়াবে তোমার ঘর।।
বৃদ্ধাশ্রমের শূন্য বিছানার তাড়া-তাড়ি লও খবর।


নিঃসঙ্গ বাবা-মায়ের সেবা না করে ভেবেছ সে বোঝা;
গৃহের দেবতারে পায়ে ঠেলে তুমি মন্দিরে দাও পূজা?
শোন, ঈশ্বর নিখুঁত বিচারক বটে যা ঘটিবে অনুক্রম;
তোমার সন্তানও তার বাবারে আশু দিবে বৃদ্ধাশ্রম।
মৃত বাবার শূন্য বিছানার তাড়াতাড়ি লও খবর।
শেষে তাও পাবে না ঠিকানাহীন থাকবে মাটির ‘পর।