এইখানে আমরা বন্দী থাকি
অনন্তকালধরে চাবুকের আঘাতে -


আঃ আঃ  (সমবেত কণ্ঠে)


তোমাদের ইশারায় করি ঘৃণ্য কাজ
পান থেকে চুন খসে পড়লেই -


আঃ আঃ  (সমবেত কণ্ঠে)


আজ তোমরা হয়েছ গদিয়ান
আমাদেরই হাড়ে তৈরী সিঁড়ি,
আমাদের হাত রক্তে রাঙা হয়েছে
আর তোমরা সুখকে করেছ করায়ত্ত্ব,
অর্থের লোভ দেখিয়েছ নপুংশকদের
দড়ি-লাঠিতে নাচিয়েছ পুতুল নাচ -


আঃ আঃ  (সমবেত কণ্ঠে)


কিন্তু কেন, এই অঙ্গুলি মন্থন ?
আমাদের জন্ম শুধু তোমাদের সেবায়
সেটাও দেশকে বেচার সমাচারে !
প্রাণপাতের সময় হয়েছে সমূলে
ঐ শোনো তাদের আর্তনাদ -


আঃ আঃ  (সমবেত কণ্ঠে - ক্লান্তির সুরে)


আমরাই এবার  রক্ত দেব -
এতদিন রক্ত নিয়েছি অনেক,
আনবো স্বাধীনতা, চাই স্বতন্ত্রতা
বাতাসে বারুদের গন্ধ ভাসছে,
তোমাদের পাপের অন্ন ছেড়ে
ঝাঁপ দেব মুক্তি যুদ্ধে
তাতে যদি চাবুক চলে -


আঃ আঃ  (সমবেত কণ্ঠে)


তবে চলুক এই প্রহসন !


এখন যেমন হাতের মুঠোয়
সুখ-সম্ভোগ, চাওয়া-পাওয়া
সবকিছুই তোমাদের পকেটে রেখেছ,
আমাদের হাতের নাগাল হয়েছে বিস্তৃত
এক এক করে ভেঙ্গে ফেলবো
নিজেদের শরীরের বেইমানের কঙ্কাল -


আঃ আঃ  (সমবেত কণ্ঠে)


তখন তোমাদের অস্তিত্ব কোথায় !
মুখশের আড়লে বিশ্বাসঘাতকের রূপ
খোলা মঞ্চে অভিনয় হবে বন্ধ,
আমরা সবাই একত্রে ঝাঁপিয়ে পড়বো
তোমাদের রক্তে-মাংসের হোলি খেলায়
তোমাদের অসতর্ক মুহুর্তে আমরাই
তোমাদের দেওয়া গুলি-বারুদে
তোমাদেরই চিতায় অগ্নি সংযোগে -


আঃ আঃ  (সমবেত কণ্ঠে)


এবার নতুন মন্ত্রে হবো দীক্ষিত
স্বদেশের বুকে অসন্ত্রাসের কাণ্ডারী রূপে,
আমাদের আবির্ভাবে টেরোরিষ্টদের হবে মৃত্যু
অনিদ্রার চোখে নব্য পৃথিবীর সকাশে,
ফোঁটা ফোঁটা রক্তের অক্ষরে অক্ষরে
যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল আমরা তারাই !