পৃথিবীর ধূসর রঙ মুছে দিয়ে
অতিসন্তর্পনে আসে বেদুইন চপল
শুভ্র পোশাকে ঢাকা লাশের শরীর
তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখ মায়া কান্নায় ওঠে ভিজে
বধূ মুছে ফেলে তার সিথির সিঁদুর
পুত্র হাতে জ্বলে আগ্রাসের অগ্নিদহন
নীল রক্তস্রোত থেমে যায় নিস্তব্ধতায়
ক্ষীণ আশা বারুদের গন্ধে ভাসে
আর অপলক দৃষ্টি স্থির নিরভিমানে,
প্রভাতের উজ্জ্বলতা গ্রাস করে চেতনাকে
ইতিহাস লিখে চলে পাণ্ডুলিপির খাতা।
তারপর সময়ের সাথে জোড়াতালি ফোঁড়
দিগন্তের পথ পেরিয়ে যায় ছায়াছবি
স্মৃতি আর কান্নায় সাজায় না বাসর
অন্তহীন উদ্যানের পথে একাকী পথচারি
অনেকটা সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর -
দেওয়ালের ঝুলন্ত কঙ্কাল কথা বলতে চায়
হায়! বোবা কান্নায় ভিজে যায় তার বুক
তার ভাষা আজও বোঝে না প্রভাতের আগন্তুক
জীবন্ত লাশ শীতল রক্তের সন্ধানে শবের মিছিলে!


                         لاش