পাত্র তিন জন - সুমন, স্বপন আর কুশল
পাত্রী এক সঞ্চারী, তাহলে সঞ্চারী হবে পাঞ্চালী!
এযুগের পাঞ্চালী অর্থাৎ ভ্রষ্টা, আদিতে সতী।
বুঝতে বোধকরি অসুবিধাই হচ্ছে আপনাদের,
তাহলে বুঝিয়ে বলি ঘটনা যা ঘটেছিল --
মহাভারতে মা'য়ের কথায় দ্রৌপদী হল পাঞ্চালী
পঞ্চপাণ্ডবের শয্যাসঙ্গী, সংক্ষীপ্ত থাক সে ইতিহাস।
ধরাযাক চারজন ব্যক্তির ছোটো একটা সংসার
পিতা-মাতা-পুত্র আর বিবাহযোগ্যা পুত্রী সঞ্চারী,
রূপে রূপবতী আর গুনে গুনবতী গৃহকর্ম নিপুনা
কিন্ত্রু কই একটা সৎপাত্র তার কপালে জুটতে আর চায়না,
সমাজের কানাঘুষোও আর সহ্য হয় নাযে তাদের
তাই বোধকরি তিন জন বাহির হল পাত্রের সন্ধানে --
ওরা ঠিক করল এবার পাত্র খুঁজে বিবাহ নিশ্চিত করবেই
তাই সঞ্চারী থাকল পাশের বাড়ি বান্ধবীর সাথে কয়েকটাদিন
অবশেষে সেই কুঃক্ষণ হাজির হল সুল্ক্ষনার বিসর্জনে
একই সাথে প্রাদুর্ভূত হল এক কন্যার তিন পাত্র,
কার কথা রাখবে সে, পিতা-মাতা না ভ্রাতার
তাই প্রাণ দিল বিসর্জন ঘুমের বড়িতে ঘুমের দেশে!
পাত্রসকল অপরাধী মানল নিজেরাই নিজেদের
তারপর যা হবার হল - সবশেষে অগস্ত যাত্রার আয়োজন,
ভগীনির মুখাগ্নির দায় এসে পড়ল ভ্রাতার উপর --
সুমন নিল নাভীকুণ্ড গয়ায় পিণ্ডদানের সৎ ইচ্ছায়
স্বপন নিল একমুঠো চিতাভষ্ম, কি কারণে তা অবর্ননীয়
আর কুশল নেভা চিতার কালীতে চোখে পরল কাজল
অতিবাহিত হল এক বৎসর কাল ।
ততদিনে সুমনের পিণ্ডদান হয়ে গেছে সারা
তথাপি স্বপন দিয়েছে প্রাণ চিতাভষ্মের কাষ্টখণ্ডে
যোগবলে অর্জিত মহাসঞ্জীবনী মন্ত্রসহযোগে।
এযে অনাসৃষ্টি -- সঞ্চারী পেল প্রাণ, আবার জুটিল পাত্রগণ
এখন উপায় হবে কি, তবে কি পুনরাবৃত্তি পাঞ্চালীর উপাখ্যান!
ক্ষণকাল রইল মাথা নিচু, অতঃপর উদিল ঊষা সঞ্চারী
পরিনাম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল নারী একক পৌরুষে
সকলি রক্ষা হল, পিতা-মাতা ও ভ্রাতার মান
অপর দুইজন পাত্র করল মহান সে দান !
......................................................
জিজ্ঞাসা : কেমন লাগল এই কথা-কাহিনী ?
সঞ্চারী কি কি কারণে এবং কাকে দিল বরমাল্য - ব্যাখ্যাসহ
উত্তরের আশায় রইলাম।
.............................................
উত্তর : স্বপন প্রাণ ফিরিয়ে দিয়ে পিতার আসনে।
সুমন পিণ্ডদানের মধ্য দিয়ে সন্তানের আসনে।
কুশল প্রেমের কাজলে কালি মেখে হল প্রেমিক!
প্রথম সঠিক উত্তর দাতা : কবি কুয়াশা রায়।