ছিল সে এক ছেলেবেলা শুধুই রঙের মেলা
মায়ের কোলে ছোটো খোকার দুষ্টুমি সারাবেলা,
সারাবেলা খেলে বেড়াই নাওয়া-খাওয়া ভুলে
মা ডাকে আয়রে খোকা খাইয়ে দেব তোরে --
দু্ষ্টূ ছেলে দৌড়ে আসে মায়ের সাড়া পেয়ে
খেলা ফেলে এল খোকা মায়ের কোলে ধেয়ে,
ওরে যাদু ওরে মানিক, মায়ের চোখে জল --
মায়ের চোখে জল, মা কেন কাঁদিস বল ?
খোকা কাঁদে মা কাঁদে আঁখি ছলছল --
তুইযে আমার নীলমনি তুইযে আমার বল,
সকাল সন্ধ্যে লেখা-পড়া আমার হাতে খড়ি
মা বলেন বল খোকা আমি যেমন বলি --
আমি যেমন বলি, আধো আধো সে স্বর
মা হেসে কয়, তুইযে আমার সরস্বতীর বর!
একের পরে হয়যে দুই, দুইয়ের পরে তিন
এক পা দু'পা এমনি করেই নাচি তা ধিন্ ধিন্,
স্নান করতে গেল বেলা, যেতে ইস্কুলেতে লেট
দিদিমনি রেগে আগুন, ছেলের সাথে মায়ের মাথা হেঁট --
মায়ের মাথা হেঁট, আর না হবে সত্যি
রাখবো মায়ের মান, কথা দিল একরত্তি!
এমনি ভাবেই বড় হলাম তোমার ছোটো খোকা
শিক্ষা-দীক্ষা ধর্ম-কর্ম সবই তোমার কাছে শেখা --
তোমার কাছে শেখা আমার বড় করো মন
দেশের লোকে বলবে তবে তুমিই আসল ধন,
মায়ের দুঃখ মায়ের ব্যথা আমার বলে মানি
দুষ্টু থেকে বিজ্ঞ হলাম সুখী হলাম আমি --
সুখী হলাম আমি, সুখ পেলেন মা
বিশ্ব জগৎ মাঝে তাহার নেইযে তুলনা!