সেদিন রাত্রে খাওয়ার পর সবে চোখ রেখেছি
'দ্যা ইকোনমিক টাইমসে'র প্রথম পাতায়
ঠিক তখনি আমার দশ বছরের ছেলে রুদ্র
পা টিপে টিপে আমার ঘরে এসে বলল :
বাবা, তোমার এক ঘন্টার দাম কত?
কোন উত্তর না পেয়ে আবারও বলল:
আমাকে এক'শ টাকা দেবে আজ!
উত্তরে আমি যা বললাম সেটা প্রশ্নই -
তোমার টাকার প্রয়োজন কেন ?
আর আমার সময়ের দাম জেনে লাভ কি?
বিনীত মুখে চোখ নামিয়ে নিজের ঘরে প্রস্থান।
কিছুটা সময় অতিবাহিত হওয়ার পর
আমি নিজেই গেলাম ওর কাছে
রাত তখন প্রায় এগারোটা হবে,
মা হারা ছেলে বিছানায় শুয়ে
একা একা চোখের জলে রাত জাগা।
আমাকে দেখে উঠে বসল বিছানায়
কিছু যেন বলতে গিয়েও বলল না,
আমি বললাম নাও ধরো এক'শ টাকা
খেলনা কিনো আর তোমার প্রশ্নের জবাব হল :
আমার এক ঘন্টার মূল্য এক'শ টাকারও কিছু বেশি।
তৎক্ষনাত সে বিছানার তলায় রাখা একটি কৌটো থেকে
বেশকিছু খুচরো পয়সা বের করে আমাকে বলল :
মোট দেড়'শ টাকা হল, এটা তোমাকে দিলাম বাবা
আগামীকাল সকাল সকাল বাড়ী ফিরো কিন্তু
মাত্র এক ঘণ্টা সময় কি আমি কিনতে পেরেছি আজ!
আমার চোখের জল ওর সারা গায়ে লেপে দিয়ে বললাম:
কড়ি দিয়ে কেনা এইসময় আমাকে অন্ধকার থেকে আলো দেখাল!