তোমাদের নিরন্তর হাতছানিতে আজ এসেছি
তোমাদের কাছে মনের কিছু কথা বলতে
যদিও খুব বেশি সময় থাকতে পারবো না
কারণ আমরা সবাইতো সময়ের দড়িতে বাঁধা,
আমার ঠিকানা দিয়ে যাচ্ছি, প্রয়োজনে এসো -
ওই দূরের যে পাহাড় দেখতে পাচ্ছো ঠিক তার ওপারে
আমার স্বর্গরাজ্যের ক্ষুদ্র ধুলামন্দির অধিষ্ঠিত,
এখান থেকে পায়ে হেঁটে পায়ে হেঁটে পায়ে হেঁটে
দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে পাবে একটি অনামিকা নদী
তার নোনা জলে সাঁতার দিয়ে পাড়ে উঠলে
দেখতে পাবে ঘন অরণ্যের সমারোহ জানাচ্ছে আমন্ত্রণ,
সজাগ দৃষ্টিতে দৃপ্ত পদক্ষেপে পার হয়ে
পাবে এক মরু অঞ্চলের শুষ্ক জীবাশ্ময়,
ক্লান্ত যাত্রার শেষ পদক্ষেপে দেখবে দাঁড়িয়ে আছে
শান্ত শুভ্র দীর্ঘকায় এই পাহাড় আর তার সংসার
আছে বৃক্ষ আছে ঝর্ণা আছে খাদ আছে বিহঙ্গ
পাবে নির্মল রোদ পাবে স্নিগ্ধ ছায়া পাবে মুক্ত বাতাস
এই পাহাড় ডিঙিয়ে আমার কাছে আসতে হবে
ছেঁড়াখোঁড়া খুবলে খাওয়া মানচিত্রে সর্বদা জাগ্রত আমি,
আশিটা বছর পার করলে আমার দেখা পাবে তোমরা
আসলে পাহাড়ের পথ খুব দুর্গম নয়, নয় জনারণ্য
বড় মায়াময় এই পাহাড়ের কোণায় কোণায় বৈচিত্র
তাকে উপেক্ষা করার সাধ্য তোমাদের কারুর নেই;
যদি পারো তবে চলে এসো আমার কাছে -
আমি বড়ই ছটফটে দুরন্ত প্রাণ এক
আমাকে ভালবাসালে তোমারাও যে পর হয়ে যাবে
একে অপরের কাছ থেকে অনেকটা দূরে,
তাই আমিই না হয় আসবো তোমাদের কাছে সময় হলে
প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার অল্প কিছুটা সময়ের আগে!