বহু দিন পরে গিয়ে ছিনু মোরা আমতলির ঐ বাড়ি,
যেথায় ভরা বাশ বাগান আর সুপারি সারি সারি।
সেথায় আমার বাল্য বেলার স্মৃতি দিয়ে ভরা,
বাড়ি বাগান বন বনানী মায়া মমতায় গড়া।
মাতা পিতা মোর সুয়ে আছে সেথা সবুজ সমাধি তলে
সালাম জানাই সে রূহের প্রতি বেদনায় বুক জ্বলে।
জনো মানবহিন  পিএালয়ে চৈএের পাতা ঝড়ে
ইটের তৈরি দোতালা বাড়িটি বন জংলায় ভরে।
শান বাঁধানো পুকুর ঘাটেতে বসিলাম সবে মিলি
ছবেদা গাছে থোকা থোকা হয়ে ছবেদা রয়েছে ঝুলি।
গোলাপ জামের গাছ গুলি সব ফুলে ফুলে আছে ভরা
কলা গাছ গুলি মাথা নুয়ে আছে ঝুলছে কলার ছরা।
ভাংগা চুরা সেই পাঠশালাটি দেখিয়াছি অাজ পাকা
আঁকা বাঁকা সেই মেঠো পথ গুলি পিজ দিয়ে সব ঢাকা।
ক্লাসের ফাকে যে দিঘিতে যেয়ে পান করিতাম জল
শ্যাওলা জড়ানো ভাংগা ঘাটে জল আজও করছে টলমল।
সেই দিঘি, মাঠ, পাঠশালা টি সবই দাড়িয়ে ঠায়
জানা নাহি আজি পড়ার সাথিরা কেমন আছে কে কোথায়?
গাঁয়ের ছেলে মেয়ে ডোবার জলে কাদার বাঁধিয়া বাঁধ
মাছ ধরিত দেখিয়া তাহা মিটায়েছি মনের স্বাধ।
সেই ডোবা বেরে পানি নাহি আজ সুকাইয়া চৌচির
পাতা ঝড়িয়া মোটা বিছানা হইছে চতুর তীর।
কাঠ বাদাম কুড়াইবার আশে খুব ভোরে ভোরে জাগি
কে কতো পেলাম পাতায় করিয়া  গোনিতাম তার লাগি।
লতা পাতা ছিড়িয়া আইছায় করি রাঁধিয়াছি বসি বনে।
বৃক্ষ তলায় ভাংগা বর্তনে  বিলায়েছি জনে জনে।
সেই দিন গুলি কোথা গেল আজ কোন সে মেঘের আড়ে
এতো দিন পরে বনলতা মাঝে আজো খুঁজে ফিরি তারে।
বাবার দান করা পল্লি প্রজেক্ট দেখতে চাহিল মন
সুখেই সেথায় দিন রজনী কাটায় কত অসহায় জন।
ঘুরিয়া ফিরিয়া স্মৃতি স্বরিয়া কাঁদিয়া উঠিল মন
অশ্রু ফেলিয়া বিদায় নিলাম নিরব রহিয়া কিছুক্ষণ।
দুর দুরান্তে উড়িয়া বেড়াই ভাবি নাই কভু আগে
জন্মভুমি কে বিষন্ন দেখিলে এতোটা বেদনা জাগে।