সব শুনে তিনি বললেন, নাম ঠিকানা বল
আমি লোক দিয়ে খোজ নিব শুরু হলো
“খোজার পালা” যুবতীর কাছে নাম ঠিকানা
চাইলাম, মুখে যা বলেছিল কাগজে তারচেয়ে
কিছুটা ভিন্নরূপ লিখে দিল। সাহেব বললেন
তুমি ভেবনা, ঐ দেশে আমাদের অনেক পরিচিত
লোক আছে, সন্ধান করে দেখা যাবে। এমনকি চেয়ারম্যান
মেম্বারের নাম পর্যন্ত নেয়া হলো যুবতীর কাছ থেকে,
জোর তল্লাসি চালানো হলো, অমুক নামে অমুক
ঠিকানা অমুক দেশে, ছেলে পেলে বাবা মেলেনা,
বাবা পেলে দাদা মেলেনা, নিষ্ফল অবশেষে।
আমার সাহেব রেগে গেলেন, বললেন
সে দেশের চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছেও জিজ্ঞাসা
করেছি, এই নামে ওদেশে কাউকে পাওয়া যাচ্ছেনা
অতএব হয় তাকে সঠিক ঠিকানা দিতে বল।
না হয় চলে যেতে বলো।বল্লাম এমন যুবতী
পথে ছেড়ে দিলে গুন্ডা লাগিবে পিছে।জানিনা
অযথা কেন সব কথা সাজিয়েছে এতো মিছে
অবশ্য কোন অঘটন ঘটিয়েছে যেতে চায়না যে
আর।আমি নামিয়ে দিলে কেইবা এখন জান
মানের নিরাপওা দিবে তার? যুবতীর কাজ কর্ম
নামাজ পর্দা আদব কায়দা সবই ছিল ভালো।যাইবার
কথা বললেই সেজে মুখ খানি করে কালো।
তাই আমি শুধু ঘুরাতে লাগলাম, সকালে যাবে
সকালে বলি, যাবে বিকালে।এমনি করে করে
৪/৫ দিন হয়েগেল তখনও সন্ধান চলছিল।
সাহেব আমাকে সদাই বলতে লাগলেন জানিনা
তুমি কি ভোগ কপালে বাজাও।এর পিছনে কোন
দল থাকতে পারে, রাতে তাদের দরজা খুলে
দিতে পারে।হতে পারে সে বাড়িতে না জানিয়ে
পালিয়ে এসেছে, কেউ যদি এসে আমার এখানে ওর
সন্ধান পায়, তবে অনেক রকম বিপদ হতে পারে।শেষ
পর্যন্ত বললাম ব্যাপারটা কি থানায় জানিয়ে রাখা
যায়? তিনি বললেন থানায় জানালে পুলিশের হাতে
তুলে দিতে হবে।অবশেষে যুুবতী কে বললাম তুমি যখন সত্য
কথা বলবেনা তখন আমাদের কিছু করার নেই।
তোমাকে পথ খরচ দিব, ভাইকে নিয়ে অথবা যোগাযোগ
করার জন্য কোন নাম্বার নিয়ে এসো।যুবতী সন্ধা
নাগাদ ফিরো এলো, তবে নাম্বার আনতে পারলোনা
সে যাওয়ার সময় আমার নাম্বারটা দিয়ে দিলাম
প্রয়োজন হতে পারে বলে।যুবতী ফেরার কিছুক্ষন
পরই ফোন দিল এক অপরিচিত লোক।বলে
(ছদ্মনাম)রাবেয়া আমার বোন আপাতত
আপনার কাছে থাক, আমি কয়েক দিন পরে
এসে সব খুলে বলব।যখনই তার বাপ দাদার
নাম জিজ্ঞাসা করা হল, তখনই ধরা খেয়ে ফোন
কেটে দিল আবার ফোন দিয়ে জানতে পারলাম
এটা দোকানের ফোন। একটু আগে যে কথা
বলেছে সে তখনি চলে গেছে।এবারে হলাম আরো
সন্ধিহান কি করি পাইনা ভেবে।চাইছেনা যেতে
নিষ্ঠুর হয়ে তারে কি ভাবে তাড়িয়ে দেই?
তাছাড়া যুবতীর কথা কাজে চাল চলনে কোনো রকম খারাপ তো কিছু দেখিনা। তাই অামি ধৈরয ধারন করলাম দেখি অাল্লাহ কি করেন।এদিকে পাড়া প্রতিবেশি যারাই দেখে এবং
শুনে সবাই অবাক হয়।কেউ বলে চোর, ডাকাত,
সন্ত্রাসি, কেউ ছেলে ধরা কয়।এতো কিছু ঘটে
যাওয়া সও্বেও কেন যেন ওর প্রতি আমার
একটা অন্ধ বিশ্বাস ছিল, তাই ওকে কক্ষের
ভিতরে রেখে বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে রাখতে
পারতাম, তাতো করিইনি, বরং নিজের কক্ষটাও
কোনো দিন আটকে ঘুমাইনি। তবে
ঘরের অন্য সহায়কদের বলে রাখলাম,
যেন রাবেয়াকে সবসময় নজরে রাখে।