হে কবি বিদ্রোহ করো আজ  


লিখে যাও বিদ্রোহের গান  


আমি কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক এক । জানি  


বিপ্লবে আসেনা প্রাণ  


রক্তে আসেনা ঘ্রান  


যতক্ষণ না বিদ্রোহ করে ওঠে কবির কলম ।



অনেক লিখেছ প্রেয়সীর রুপ-স্তুতি 


প্রতিটি লোমকূপের দিয়েছ বর্ণনা  


ঝর্ণা ও সাগরের প্রতিবিন্দু জল   


পাহাড় ও পথের প্রতিটি ধূলিকণা   


সুর্য ও চাঁদের প্রতিটি আলোকরশ্মি    


ফুল-পাখি-আকাশ, মাটির সবুজ ঘাস ; পায়নি রেহাই কেউ  


সবকিছু নিয়ে লিখে গেছ আজীবন  । আজ এসো এই ফাল্গুনে  


আগ্নেয়গিরির আগুন নিয়ে লিখে ফেলো দু’কলম  


বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ প্রবেশ করুক  


আমাদের এঁটেল হৃদয়ে ।


হে কবি নীরব কেন , ফাগুন যে এসেছে ধরায়  


শিমুলের ডালে লাল রং শিমুল ফুলে  


কৃষ্ণচূড়া ফুলে লাল হয়ে আছে কৃষ্ণচূড়াও  


পিচঢালা  রাজপথও দেখো হয়ে গেছে অবিশ্বাস্য লাল  


তোমার ভাইয়ের রক্তে ভিজে ।


আগ্নেয়গিরির লালচে লাভা নিয়ে তুমি তাই লিখে দাও একটি পংক্তি   


যাতে আমাদের কুম্ভকর্ণ বিবেক জেগে ওঠে  


কোমা হতে ।  


ক্ষ্যাপাটে ষাঁড়ের মত বিক্ষুব্ধ হও   


ভগবানের বুকে এঁকে দাও পদচিহ্ন ; নজরুলের মত ।   


হেলাল হাফিজের মত বলে দাও- ‘মিছিলের সব হাত, কন্ঠ, পা এক নয়’ 


ফরহাদ মজহারের পথ ধরে লিখো নতুন এক  


‘লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাক’ ।   


আমি কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক এক । জানি  


বিপ্লবে আসেনা প্রাণ  


রক্তে আসেনা ঘ্রান  


যতক্ষণ না বিদ্রোহ করে ওঠে কবির কলম ।