টপকে দেয়াল যেইনা আমি
ল্যান্ডিং করি গোলাপঝাড়ে,
অমনি কে যেন দৌড়ে এসে
শার্টের কলার খামচে ধরে।
বলে ব্যাটা সাধ কত তোর
রাতবিরেতে চুরির নেশায়,
পড়লি এসে অবশেষে
বদ্যি বাবুর আপন বাসায়!
কেমনে বলি চৌকিদারে
কারণটা নয় ছিচকে চুড়ি,
এলাম আমি দেখতে তারে
মোর মনে যে ওড়ায় ঘুড়ি।
বদ্যি বাবুর একটা মেয়ে
নামটি যে তার ভীষন ভালো,
চম্পাবতি লাজুকলতা
চুলগুলো তার দীঘল কালো।
পাড়ার মোরে যেদিন প্রথম
হয়েছিলো চোখাচোখি,
সেদিন হতে মাঝরাত্রে
ঘুমের ঘোরে তারেই দেখি।
তাইতো আমি এই অবেলায়
চুপিসারে বলতে তারে,
হাতে নিয়ে প্রাণের মায়া
এসেছি তার ঘরের দ্বারে।
আসতে গিয়ে গেটের কাছে
সাবধানতার নোটিশ পড়ে,
"কুকুর হতে" লেখা দেখে
দৌড় লাগালুম ওদিক ছেড়ে।
পাচিলঘেরা বিশাল বাড়ি
কেমনে সেটা পার হয়ে যাই,
এই চিন্তা করতে গিয়ে
সামনে বিরাট আম গাছ পাই।
গাছের দুটো মস্ত শাখা
পাচিল ফেলে বাড়ির পানে,
দুহাত মেলে আছে যেন
আমার আসার খবর শুনে।
খুশিমনে গাছে উঠে
যেইনা পাচিল টপকে যাবো,
তাকিয়ে দেখি গোলাপ কাটা
পড়লে কি আর রক্ষা পাবো!
তবুও মনে সাহস করে
চন্দ্রাবতীর মুখের ধ্যানে,
লাফিয়ে নেমে অবশেষে
পড়লাম এসে ফুল বাগানে।
জানতাম কি আর তাদের বাড়ি
পাহাড়া দেয় জম দারোয়ান,
হুশ ফিরলে তাকিয়ে দেখি
টানছে ধরে আমার দু কান।
ভয়ে আমার হাত পা কাঁপে
মন হতে সব প্রেম যে উধাও,
মন শুধু কয় চুপিসারে
"এবার বাছা ঝেড়ে দৌড়াও" ।।