বন্ধুরা, "মাহে রামাদান"-এর প্রীত ও শুভেচ্ছা জানাই । আজ একটু কৈফিয়ত দিতে এলাম। আশা করি বাস্তবতা অনুধাবন করে সবাই আমার সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিবেন ও ক্ষমা করবেন।


এই আসরে আমার বয়েস মাত্র ৩২ মাস। ধারণা করি, যত অসুবিধাই থাকুক না কেন এই ৩২ মাসে সব মিলিয়ে আমি ১০ দিনও আসর ছেড়ে থাকতে পারিনি। বিশেষ সমস্যা ছাড়া একাধারে দু'দিন আসর থেকে দূরে রয়েছি এমন ঘটনা বিরল।


নিজে পোস্ট কম দিই বটে কিন্তু শুরু থেকেই কোন না কোন ভাবে আসরে উপস্থিতি নিয়মিত ধরে রাখতে এবং বন্ধুদের লেখা পড়ে যথাসম্ভব উৎসাহ ও উদ্দীপনা দিতে চেষ্টা করেছি। এখনো করি তবে, নানান বাস্তবতায় এর ঘনত্ব কমেছে। আমার পোস্ট কম থাকলে অনেক সময়ই অনেক বন্ধুদের কাছ থেকে আবদার অনুযোগ আসে। অনেকেই তাঁদের পাতায় আমার সরব মন্তব্য কামনা করেন। তাতেই বুঝতে পারি, বন্ধুরা আমায় কত ভালোবাসেন। তাঁদের ভালোবাসার বন্ধনে আমি ঋণী।


পাতায় যখন কবিদের 'সাপ্তাহিক কর্মকাণ্ডে'র খতিয়ান দেখার সুযোগ ছিল তখন দেখতাম, মন্তব্য-প্রতি-মন্তব্যে বরাবরই আমার শীর্ষাবস্থান ছিল। দুই এক শব্দের স্তুতিবাদী মন্তব্য আমি পছন্দ করি না। যতটুকু সম্ভব প্রাসঙ্গিক, গঠনশীল, সমালোচনাধর্মী মন্তব্যে ভালমন্দের নির্দেশনার কারণে ব্যতিক্রম দু'চারজন ছাড়া অধিকাংশ কবি বন্ধুর কাছেই সমাদৃত হয়েছি। বরাবর সবার সম্মান ও ভালোবাসা পেয়ে ধন্য হয়েছি। তাই, আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।


এখন, একেতো 'রমজান' - দৈনন্দিন জীবনের অনেকটা সময়ই কেড়ে নেয়। তার উপর ব্যক্তিগত ভাবে আমি পারিবারিক সমস্যায় আছি। স্ত্রী-সন্তানহীন আমার একমাত্র বড়ভাই জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে; হাসপাতালে আইসিইউতে আছেন। তাঁর জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। আমাকে এখন সেদিকেই বিশেষ নজর রাখতে হচ্ছে। স্বভাবতই মন মানসিকতা কবিতা পাতার অনুকূলে নেই।


তবু স্বভাব বশত পাতায় আসি, আসবো। সময়-সুযোগ সাপেক্ষে পড়বো, যথাসম্ভব সরব উপস্থিতি জানাতে চেষ্টা করবো। তবু যদি কারো পাতায় আগের মত উপস্থিতি না দেখেন, আমার সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমা করবেন। দোয়া করবেন, সবার ভালোবাসাকে মাথায় করে আবারো যেন পাতায় সরব হতে পারি।


আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভ কামনা সবার জন্য।