একলা মানুষ, একলা জীবন, একলা ভাবনা
কেঁদে হেসে কাটে প্রহর, মনতোষী গূঢ়ৈষণা।
নীরব নিশির শূন্যতায় প্রাণ কেঁদে জার-জার
একাই হবে দিতে পাড়ি অসীমের পারাবার।


উথাল পাতাল ঢেউয়ের মঝে একলা ভেসে রই
মন পবনে পাল উড়িয়ে সুখের লাগি করি হৈ-চৈ
সুখ কাতরে মুখরিত হৃদ চেতনার বোধ বোধন
প্রতীক্ষাতে কী-বা হবে, সবইতো অরণ্যে রোদন!


দিনের শুরু চোখের ভুরুয় মন যে উড়ু উড়ু
রাতের শেষে আলোয় হেসে বাজে রে ডম্বরু।
উড়াল পবন অচিন দ্রবণ ভাসে যেই উদ্ভ্রান্ত
দেখে না সে ভালোবেসে, না-পায় সুখবসন্ত।


অমূর্ত অনশ্বর ভগবান হলো ভাগ্য-বিধাতা
দুঃখ-হাসি-যন্ত্রণাতে সে ই তো পরম ত্রাতা।  
খড়ির দাগে গোনে রাখো রক্তচক্ষু রুক্ষ দিন
শত যাপন-আয়োজনে করে তোল স্বপ্ন-রঙিন।


_______________________
🔯 চয়নিকা কাব্য সংকলন (পৃষ্ঠা-০১২) প্রকাশিত