একটা গিরগিটি বাসা বেঁধেছে আমাতে
ওর অস্তিত্ব সর্ব অবয়বে ঘিরে ফেলেছে আমায়।
আমার স্নায়ু মগজ পাকস্থলি নাসিকাগ্রন্থি মায় রেটিনা চোখের
কোথায় নেই তার সদর্প বিচরণ? আমি এক অসহায় ক্রীড়নক দাস
আমাতেই সদা সে হানে ক্রোধ ত্রাস, আমার রক্তে তার সগর্ব বাস।
সে করে আমার সর্বনাশ, আমি করি মানুষের।


এই তামাটে শরীরে রক্ত কণিকা মানুষের বটে
জন্মেওছিলাম মানুষেরই পেটে
তবু কী করে সে আমায় খেলো গিলে!
আমি এখন বহুরূপী, ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলাই।
কড়ি গিনি রত্নরাজি বিশিষ্ট চেয়ার কী নেই আমার থাবায়?
ইট কাঠ ভালোবাসা সবই করি গোগ্রাসে সাবার!


আমায় ধরা নয়কো সোজা, কাজ নয় প্রজ্ঞার
আমার কদর সর্বস্তরে কে নয় মিত্র আমার
মসজিদ মন্দির সুরিখানা খেলার মাঠ কিংবা নিষিদ্ধ পাড়ায়
সর্বত্রই আমার প্রতাপ। অসহায়ের সহায় আমি গৃহহীনে গৃহ
আবার গৃহহীন বানভাসির ব্যথায় থাকি না নিস্পৃহ
কেননা তারাই যে আমার সোনার ডিম দেয়া হাঁস!


খোরাক আমার কমই বটে গোলা তবু চাই বড়!
কিছু মানুষ হিংসায় জ্বলে, আসলে নয় কিছু সব নিজের তরে
মানুষের সেবক আমি মানুষেতেই করি বাস
আমার 'পরে আঘাত এলে লাখো মানুষ হয় জড়ো
লুটের ধনের নইতো মালিক কিছুতেই নেইতো ভাগ(!)
মরণকালে খুঁজে দেখো আমার দুটি হাত;
কী কী আমি নিয়ে গেলাম ভবের ঐ পাড়েতে?