দুটি কৈফিয়ত:
* কবিরা গল্প লিখতে গেলে কি কবিতা হয়ে উঠে? একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম - কবিতার মত লাগছে। তাই দশ পর্বে ভাগ করে এখানে দিচ্ছি।


* আসরে ইদানীং নতুন কবি এসেছেন অনেক। আমারও সময় কম অথচ নতুনদের উৎসাহিত করা উচিৎ। পাতায় যেটুকু সময় দিতে পারছি, আপাতত নতুনদের জন্য বরাদ্দ রাখছি, পুরনো বন্ধুদের কবিতা পড়লেও মন্তব্য দিচ্ছি না। তাই আপাতত আমার পাতার মন্তব্য বন্ধ রাখছি।
_______________________


বানভাসি হৃদয়ের কান্না-১


বৃষ্টিস্নাত কোন এক নিঝুম সন্ধ্যায় -
কাকলি মুখর পাখিরা যখন কুলায় ফিরে, তুমিও ঘরমুখী।
এমনি লগ্নে যদি কখনো দেখা হয়ে যায়, কী বলবে তুমি?
জানতে চাইবে কেমন আছি? না কি,
ঠুনকো ব্যস্ততায় মুখ ফিরিয়ে
ট্যাক্সি ডাকতে উতলা হবে?
অথবা -
তোমার চিরায়ত ভব্যতা বজায় রেখে
ছোট্ট এক টুকরো অস্ফুট হাসি...

সত্যিই তো! যাকে একবার ত্যাগ করেছ,
তাকে কেন মনে রাখবে আর?
হাজার কোটা শরতাকাশের বিচূর্ণ মেঘের মত -
মনোভূমের ভাঙা মুকুরে জেগে আছে আজো
বিক্ষিপ্ত স্মৃতির খণ্ডাংশ...


আর আত্মা সাক্ষী,
হৃদয়ের টান বলে কোন দিন বুঝি ছিল না কিছু?
টান আমার একটা ছিল বটে;
পতঙ্গের মত আগুনে আত্মাহুতি দেয়ার।
কিন্তু তা কি ভেবেছিলাম;
এই আহুতিই হবে আমার স্বপ্নের কবর?


শৈষবটি ছিল বেশ;
বাবার বাড়িতে আদরে-আহ্লাদে বড় হয়েছি,
যাকে বলে লাই পাওয়া -
সেই লাই আমিও পেয়ে এসেছি বরাবর।


আর পাঁচটি স্বপ্নবাদী মানুষের মতই
স্বপ্নের মানুষটিকে ঘিরে স্বপ্নও বুনেছি ঢের,
তবে কিনা, আমি ছিলাম আমার মতই তুমি তোমার মত,
তুমি ছিলে বেতস পাতার পরিপাটিতে নিটোল বাস্তববাদী,
আমি - খানিকটা উড়নচণ্ডি, একটু উদাসীনও।
তাই বুঝি, তেলে জলে মিশ খায়নি কখনো!
... ব্যথাতুর জীবনের বোবা কান্নায় ভুগছি নিয়ত।