দুটি কৈফিয়ত:


* কবিরা গল্প লিখতে গেলে কি কবিতা হয়ে উঠে? একটা গল্প লিখতে চেয়েছিলাম - কবিতার মত লাগছে। তাই দশ পর্বে ভাগ করে এখানে দিচ্ছি।


* আসরে ইদানীং নতুন কবি এসেছেন অনেক। আমারও সময় কম অথচ নতুনদের উৎসাহিত করা উচিৎ। পাতায় যেটুকু সময় দিতে পারছি, আপাতত নতুনদের জন্য বরাদ্দ রাখছি, পুরনো বন্ধুদের কবিতা পড়লেও মন্তব্য দিচ্ছি না। তাই আপাতত আমার পাতার মন্তব্য বন্ধ রাখছি।
__________________________


বানভাসি হৃদয়ের কান্না-৫


তুমি বুঝি ছিলে আগুনের সুপ্ত শিখা!
তা না হলে, কাছাকাছি এলেই শরীর-মনে কেন
আগুনের আঁচ অনুভব করতাম?
অনেক পরে হলেও আজ বুঝেছি - তোমাকে নয়,
বুঝি ভালোবেসেছিলাম আগুনের জ্বলন্ত শিখাকেই।
অথচ তার উত্তাপ সহনের মত যথেষ্ট ক্ষমতা ছিল না আমার।
তাইতো সেই আঁচে কখনো উদ্দীপ্ত হইনি, ঝলসে গেছি!
আমাকে যে এভাবে পুড়ে মরতে হবে
তা কি জানতাম কোন দিনই?


সূর্য প্রভায় প্রদীপ্ত তোমার যেমন ছিল চাঁদের আসক্তি,
- আমার ছিল চাঁদির।
দুই বিপরীত মেরুর চাহিদা-প্রাকার -
যেন, তেল আর জল।
তাইতো, দুইয়ে মিলে ঘর বানালেও সন্ধি হয়নি কোন দিনই।
বুঝতে অনেক সময় লেগেছিল।
অনেক পরে যখন বোঝেছি - ততদিনে সবই শেষ;
চলে গিয়েছ তুমি বাস্তু খুঁটি ছেড়ে বহু দূরে!


কী জানি এক বোবা অভিমানে ক্রমে ক্রমে
নিজেকে আমা থেকে বিযুক্ত করে
সরিয়ে নিয়েছিলে তুমি! আমি বুঝিনি!
ভেবেছিলাম, এই টানাপোড়েন সাময়িক বিষয়।
কতদিন আর ওভাবে চলতে পারবে?
জগতের স্বাভাবিক নিয়মে ঠিক ফিরে আসবেই একদিন।
তাই তোমার মানের পরিমাপ করতে যাইনি।
অভিমান আমারো কম ছিল না!
কিন্তু তোমার ঐ অভিমানের কাছে
তা যে কী মূল্যহীন বুঝতে পারিনি তখনো।