স্পর্ধিত সময়ের অনাস্বাদিত ভ্রূণে
এঁকে যাই এসো নীরব বর্ণমালা
মিইয়ানো শিশিরের তিরতিরে প্রীতি
বিচূর্ণ হোক নাঙা পায়ের স্খলিত বিক্ষেপে।


কিছু পৌষালি রাত ফাগুনের বিনম্র প্রাতে
গুঞ্জন তোলে পলাশ-দামে, আম্র-মুকুলে
মাঘের ওই বাঘকাঁপা শীতের হলে অবসান
তখনো কৌশলে লুকোয় হিমঘুম জাগরণে।


হাল ভাঙা আধোপ্রাতে - ‎যাপন বিলাস ত্যাজি
কিষাণের নাঙা পা যেমন স্পন্দিত পদচ্ছোঁয়ায়  
ইতিউতি আঁকে বিক্ষিপ্ত রাগে -
শিশিরের বুক জুড়ে শিল্পিত ছাপ।


তৃণাচ্ছাদনে পাতা ঝরার মর্মর হুতাশন,
বিদীর্ণ রাত - ‎বুক ফাটা মায়ের আর্তনাদে...
ওরা চেয়েছিল তোতাপাখি বুলি
মায়ের ভাষায়, মায়ের বুকে লুকোবার।


প্রাণের আকুতি সেদিন রক্ত ধারায় মিশে
ইতিহাস হলো; বুলেটের কলতানে
মায়ের বুলি বিশ্বসভায় তাই
পেয়েছে তো আজ ঠাঁই - শ্রেষ্ঠ ভাষার সম্মান!


প্রাণের ভাষা বাংলা আমার মধুর কলতান
মায়ের ভাষায় বলি কথা কণ্ঠে জুড়ি গান।