সময় পাঁজরে রোঁয়া উঠা স্মৃতির কলিরা হারায় না কখনো, জেগে থাকে ভাঁজে ভাঁজে। মনের আরশিতে দেখি অনিত্য প্রহর যেমন; চাইতাম তারে নিশি-দুপুরে... শ্বাপদ তিথি কিংবা সমাহিত সুন্দর মাঝে। যাপনে কী জীবনে সে ছিল আমারই প্রতিভূ, বিশ্বস্ত অনুগামী দোসর এক - ধূসর ছায়া!


সুপ্রযুক্ত ঠিকানায় একটি নিবিড় আকাশের সন্ধান করেছিলাম, পাইনি। কী করে যে মহাকাশের সুবিশাল বুকে ঠাঁই করে নেয় - ভেবে পাই না!
ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠের সীমিত ঠিকানার বাতায়নে লেখা ছিল গোবী-সাহারার ধু-ধু মরুময়তা আর দৃষ্টির রেটিনাজুড়ে আমাজনের প্রকীর্ণ অন্ধকার।


প্রশান্তের অতল গভীর জলরাশির নীলান্ত পরিক্রমণ বিশ্বস্ততার নিশ্চয়তা দেয়নি অবশেষে। সে আকাশজুড়ে - বিশ্বাস অবিশ্বাসের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে দেখি সমাহিত মতদ্বৈধতার আলো-আঁধারি। অথচ সে আকাশ ছিল কী না আমারই প্রযত্নে রচিত!


আজ জেনে গেছি বিশ্বস্তের বিশ্বাস-ঘাতকতার খবর - মনের সেই ছোট্ট আকাশও নয় আমার অনুগত! অশ্বখুরে উদগীরিত ধুলোরাশিও শোনবে না আমার হুকম, ইচ্ছা অভিপ্রায়। নিমিত্তের ভাগীদার আমি এতকাল পোষে গেছি মিথ্যা অহমিকা!