বৃক্ষ তোমার নাম?
হ্যাঁ, সে তো ফলেই পরিচয়!
ফুল ফল যদি হয় কীটদংশ তবে, কার অবক্ষয়?
নিশ্চয়ই জানি; সে তোমার নয় তবু দায় নিতেই যে হয়!


বৃক্ষ তুমি কার?
জানি; আবাস ক্ষুধা ছায়া ও তৃষ্ণাপীড়িত জনতার।
এসো তবে, গোপন নামচায় লিখে যাই এ গাথা তোমার –
দুঃখ তিমিরে হারায় যে বেদনা খোঁজ রাখা দায় কার?


অকাল বেলায় ত্রিকালের সাক্ষী তুমি, সময়ের অবতার
জন্মেই তোমায় মাড়িয়েছিলো দ্বিপদে ও চতুষ্পদের অনাচার।
ঝড় ও ঝঞ্ঝা এড়িয়ে দ্বি-পত্রে জাগালে নিয়ে মাথা
ছাগশিশুর আদরে আবার মুণ্ডিত হয়ে গেছেও যে তা।


বিধির চক্রান্তে একদা;
পত্র-পুষ্প-পল্লবে দাঁড়ালে আকাশের গায় তুলে মাথা
শোভিত তোমার রূপ-নাম-যশ মুখেমুখে কত গুণ, কত গাথা
কত যশ দেখো; তুমি বনস্পতি, মহীরুহ বীথি, তুমি দ্রাক্ষালতা।


অবশেষে একদিন –
বেজে উঠে অকালের বীণ
সব যশ রস গুণ হলে অবসান
কুঠারাঘাতে তোমার কেড়ে নিই প্রাণ।


- - - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৩৩) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।