শুনছি এ কি বীথি - রাঙা’বু যে বলে, তোমার বিয়ের কথা এলে,
কান্না চেপে বুকে, হন্যে হয়ে তুমি নাকি আমায় খুঁজেছিলে!
আহা, জানল না কেউ মনের খবর, ছিল তাতে কী ব্যথা ঝড়
আমি তখন ঢাকার শহর - চৌধুরীদের ঘরজামাই,
খুকুমনির হাতের পুতুল, চাকরী করি দিন কাটাই।
ঘরজামাই ছিলাম ঠিকই হইনিকো স্বামী, শাহাজাদির খামখেয়ালে -
হলেম পরকীয়া বলি, প্রতিদ্বন্দ্বী সরাতে শেষে টেনেছি জেলের ঘানি।
বছর পঁচিশ ফাটক শেষে বাইরে এসে দেখি – পৃথিবীটা বদলে গেছে
মুক্ত ধরা ঘর হয়েছে, নেই তো কেউ আর বেঁচে।


নেই মনে সুখ ব্যর্থ জীবন, ভালবাসা স্নেহের বাঁধন সব গিয়েছে ধু’য়ে
গ্লানির বোঝা জীবন কাঁধে হেথা-হোথা কতক বছর ঘুরে
দৈবযোগে অবশেষে, এই পেলাম আজ তোমার ঘরের খবর।


মনে পড়ে ছেলেবেলায়, বউচি খেলায় কাটত কত বেলা!
বউ সাজতে লজ্জা পেতে, চিমটি কাটতে আমার হাতে
এমনি কত ছলা-কলা। ছিল কত মিথ্যা ভাষণ,
রাগ অভিমান, কপট শাসন... শুনেছি এখন ভা’লই আছ;
আনঘরেতে বউ সেজেছো, হাসি-খেলার স্বপ্ন ভুলে বেঁধেছ আপন ঘর।
স্বামী-সন্তান সব হয়েছে, ভুলেছ আমার স্বর।


মনে আছে আজও আমার,  
হয়ত তুমি ভুলেই গেছো;
একদা ছিলাম - আমি তোমার বউচি খেলার বর।
------------------------------
** বন্ধুরা শুভেচ্ছা নিন। কয়েক পর্বে ভাগ করা কবিতাটি মূলত একটি ছোটগল্প। কবিতা-পাতায় পোস্ট দেয়ার স্বার্থে এবং কাটছাট করে কবিতার ফর্মে আনতে এতবড় লেখাটির কাব্যিক মান হয়ত কিছুটা ক্ষুন্ন হয়েছে। তবু এর সাহিত্যেক মান বিবেচনায় আপনারা যে ভালবাসা ও সমর্থনসূচক মন্তব্যে আমায় প্রাণীত করেছেন সে জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। সবাইকে ধন্যবাদ।