খবরে প্রকাশ -
কবিতা এখন গোবি-সাহারার মরুচারী;
উদ্যমে ধীর - অন্বেষী পরিব্রাজক বেশ!
মরীচিকা-নদী-বারি অন্বেষণ হলে অবসান
ক'দিন পর ফিরতেও পারে...
শূন্য-কুম্ভে আশা-নিরাশার দোলায় এতদূর যাওয়া -
রক্ষে কর ভাই, ক'টি দিন না হয় এখানেই কাটাই!


কোন এক অলস দুপুরে যদি তার দেখা পাই
শুধাব তখন তারে; কী আছে তার অলীক মায়ায়
তার আশে কেন জাগি নিশি-দিন-ভোর
কেন তার মরুঠোঁটে ঝরে নোনা স্বেদ-বারি,
নয় কেন কৃপণের একটু শিশির!
মরুতৃষা বুকে তবু কেন জাগে এই কামনা -
শ্রাবণের ঘনমেঘ শেষে দেখতে যেমন অমল আকাশ
নেয়ে-ঘেমে উষ্ণমন এই অবকাশে এখানেই জুড়াই।


আমি তো দেখেছি;
আমূলে প্রোথিত বাস্তবের শক্ত-শিকড়
ঘন মেঘ ভেসে যায় দুরন্ত বলাকা বেশে কোন দুরাশায়
চিত্রিত সময়ের জারিত অনুভবে মিশে
বিরাজিত দেখি আজো নালায়েক স্বপ্নের বাস।
স্থাবরে যেথায় বিচরে অলিক পরিযায়ী সুখ রাশি রাশি
সত্তার পরশ শুভ্র চেতনে মেখে কাটছে দিবস-যামী
তাই জেগে আছি আজো আয়েসেতে বেশ।


বোধ আসে, যায় চলে, দিই জোড়া-তালি
চিত্তে জাগাই শত বাণীর সুখের নাচন
হৃদয়ের ভাবাবেগে কুলহারা ঢেউ উঠলে ফুঁসে
সদা উড্ডিন অমৃত তৃষার বিশুষ্ক জাগরণ
নিভৃতে জাগায় কতই না বিস্মৃতির ছবি
তবু মোর হয় না কিছু কাব্য গঠন
নির্লিপ্ত আঁখিতারা খুঁজে ফিরে ভরসাটি কার?
তোমায় জানাই এখনো আমার বিনীত নমস্কার।