জ্যোৎস্না-ভেজা রাতপ্রহরে এলোমেলো ভাবনা
ছন্দে, না দ্বিধায় আচ্ছন্ন আবেগের পলল জমিন!
সময়ের মৃত্তিকা ওমে জাগে যাতনার ক্লেশ
আন্ত-বলয় পরিক্রমায় বোধগুলো ছুটে আসে
হৃদয়ের কাছে, দহনের মাত্রা তবু যায় না বোঝা।
হৃদয় ছুঁয়ে উড়ে যায় ভাবনার মৃণ্ময় পাখি
সন্ধ্যা রাত্রি আসে-যায়, আসে ঝড়জল অসুখ বিসুখ –
কী করে সময় কাটে অজানা সে স্রোতে?


কুয়াশার চাদর সরিয়ে ঝলমলে রোদেলা দুপুরের মত
স্মৃতির মণিবন্ধে ঝলসে উঠে ক্ষীণ প্রভার আন্তরিক বিক্ষেপ।
কত জল ছুঁয়ে যায়, কত পাখি কুলায়ে ফিরে
অলিখিত শর্তের অনুক্রম মাত্রায় চোখ আটকে থাকে
মনযোগ কেড়ে নেয় নিবর্তনের বিবিধ পাঠ
যেমন তীক্ষ্ণ চোখে শঙ্খচিল  
ঢেউয়ের ফসফরাসে লুটে ছোট মাছ।


শিশির ধারায় ভেজা ঝর্নাকে একদা গান শোনাতে চেয়েছিলাম,
নিজে কালা তবু আছে তার চন্দ্রমূখী প্রীতি,
তাই কৃষ্ণপক্ষে বোবা, চন্দ্রালোক দেখার সাধ্য নেই তার।
যাক না ধুয়ে সময়ের বিবর্তন কলা
কবিতার ঝাপটায় চঞ্চল মন হয় এলোমেলো
তার দুপাট্টা যায় উড়ে উড়ে শঙ্খচিল ডানা মেলে
প্রবালের বুক চিরে উড্ডিন পাখায় নাচে, গায় ঝাউবন পাইন
সারথী সকাশে হতে চায় বেলাভুমি নিসীমে বিলীন।


সাগরের উদ্দাম হাওয়ার মতই -
আনন্দের বন্দীশালায় এসো চেতনার তন্দ্রাচ্ছন্ন পাখিদের
তাড়িত করি আজ সৃষ্টির নব উৎসবে।