কখনো সময় আসে বেশ লাগে জীবন-পাতার লেখাজোখা
ক্ষণিক পরে বুকের মাঝে উথলে উঠে দুরন্ত মেঘের পাখা,
আপন নাকটি কেটে কেউ তো করেই পরের যাত্রা নাস্তি
সভ্যতার আদলে শোনায় ঢের অসভ্যতার কাহন ফিরিস্তি।


ছুঁয়ে যায় মন, প্রাণে জাগে আশা রোমাঞ্চের শিহরণ
সিকি-আধুলি নয় জীবনে, ষোলআনা হয় যেন পূরণ।
বৃথা মোহে ছুটি মরিচীকা পানে, পাড়ি দিই মরুনদী
মিলে না পানীয় বারি মথিত করেও বিপুল জলধি।

হৃৎস্পন্দনে বক্ষের উঠা-নামা; তপ্ত বাতাস দীর্ঘশ্বাসে ঝরে
যায় না মাপা দীর্ঘতা তার গজ ফিতায় কিংবা অনুস্বারে
বোধ-অবোধের দোদুল-দোলায় চেয়ে থাকি শূন্য দুরাশায়
বুঝতে পারি; বেঁচে আছি - ভরছি শ্বাস বুকের খাঁচায়!

দহনের অদৃশ্য শিখা পায় না প্রকাশ ব্যথার নীল ঝালরে
কেউ জানে না, হিসাব রাখে না কী বিষ এই শ্বাসে ঝরে
কতটা কষ্টে খালি হয় এ পোড়া বুক মরমে দুঃখ চেপে
বুকের খাঁচার শূন্য গোলা ভরি প্রশান্তির বাতাস মেপে।