কবিতার পাতা আমার জড়ানো অনেক
উঁচু মার্গের ভাবধারায়। যা কিছু লিখি
সবই যেন লাগে কেমন ধামাধরা!
আমিও কি বুঝি ছাই, সব কিছু তার?
সে শুধু আমার ভাবেরই কারবার।
অতনুর পরে আড়ি, রাগ হলো ভারি -
জিজ্ঞাসে সে কবিতার মানে কবিদা’র কাছে
বেয়াদব বলে কাকে, করবো ব্যাখ্যা আমি
কবিতা আমার ও-টুকু পুঁচকের কাছে!
কী বুঝবে সে? আমিই কি বুঝি তার কিছু?


বলি - ওহে নট্, আছে নাকি ঘটে কিছু?
ভাব ছাড়া মিছিমিছি
ঘুরো না তো আর কবিতার পিছু পিছু।
চারপদী কবি আমি দুই পদে হাঁটি,
ঘুরি চারণ বেশে লেখি কবিতা চতুষ্পদী।
করতলে ছুঁয়ে গ্রীবা দিন রাত করি জপ্
পাই না তত্ত্ব কোথাও কবিতার কলরব।
অসহায়ত্বের প্রতিলিপি বিপন্ন কবি
বিপন্ন আমার কবিতার খেরোখাতা
লিখতে পারি না কিছু কবিতার কথকতা।


মনে বহে ঝড়, ভাবে তোলপাড় প্রকাশের তাড়নায়
লিখতে যা চাই তা বুঝতে না পাই
বোঝাতে বললে কেহ বোবা হয়ে যাই,
ভেবে ভেবে খাবি খাই করি মাথা নিচু
দেখতে পাই না ভুল কবিতার আগুপিছু।
পথ হতে বনে, নদী ঘাট চাঁদ হাট প্রান্তর জুড়ে
খুঁজে ফিরি পথ, যেন কোন পথহারা যাযাবর
যতই ছাড়াতে চাই কবিতার ভাব
সবেগে জুড়ে বসে ততই সে ঘাড়েতে আমার
অসহায় কবি তাই দুঃখ মনে করে হাহাকার।


তুমি যা বুঝবে না, যা বোঝাতে পারব না
পাঠক ভাববে বেশি বুঝবে অতি কম
তা ই তুমি ধরে নিয়ো ‘সুররিয়ালিজম’।


____________________
★ 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-২৮) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।