না-লায়েক সৃষ্টিশোভা হারাক না নিখিলের আঙিনায়
আর ধুম্রকেতুর পুচ্ছ উড়ুক দৃষ্টির সীমানায়,
সেইক্ষণ এসে গেলে নিন্দিত বাসনার জলাঞ্জলি দেবো হেসে,
ছেড়ে যাবো প্রাণে পোষা বিবিধ এষণা।
তবু এসো; সাজাই বাসর তোমাদের স্মৃতির চাতালে।
প্রখর রৌদ্রের দিনকে করে দিই কৌমুদিনী রাত
হাসি প্রীতিতে উঠুক ভরে নৈশতৃষার প্রহর
যাক না ঘুচে, যা ছিলো কামনার বাঞ্ছিত নেশা
বিবাগীর আঁচল ফুঁড়ে ঝলকিত আলোক প্রভা
কখনো ফোটায় যদি কিছু বিনোদ লহর।


দিগভ্রান্ত পথিকের নিদাঘ যাতনায়
আনমনে হেসে হেসে রুয়ে দেবো তৃষ্ণার বিছানা
সুর ছেনে ছন্দ এনে সাজাই তাদের ঊর্মীর বিক্ষুব্ধ চূড়ায়
ঘুম ঘুম আঁখি পাতে নুয়ে পড়ে স্বপ্নের বাসনা
রোমকূপে উঁকি দেয়া যাপনের কথাকলি
উন্মন চাহিদার ষড়ভূজ কামনায় জাগ্রত এষণা
ফিসফিস কথা কয় তস্য বিবেকের নিদ্রিত নিবাসী –
প্রাণের অঙ্কুরোদ্গম মিটিমিটি আলো চায়
খুলে আঁখিপল্লব, সালোক-সংশ্লেষণে সন্ধান করে
অনাহুত তৃষ্ণাসীমায় খুঁজে ফেরে জীবনের ইন্ধন।