কত চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নদীর ধারা বেয়ে বেয়ে
সাগর এসেছিল তোমার পাদমূলে
হে মহান, নির্বিকার উদ্বায়ী শির, তুমি চেয়েও দেখনি।
এমনি তোমার জাত্যাভিমান, গরব হ্রেষা –
পান কর মেঘবারি তবু কাটে না তোমার নেশা।


পাও না ধরণীর মায়া কিংবা আকাশেরও ছোঁয়া
আপন বিভায় গরবিত তুমি, আছে ঢের ঋজুতা
তাই, দেখ না আপন পাদমূলে আপনার ছায়া।
পার না বাসতে ভালো ঝরাও আঁখিনীর অবিরল
পার না মিটাতে কারো ভালোবাসার তৃষা।


ধারণ কর না কারেও, ধারোও না কারো ধার
তোমার পাষাণ গায় কিশলয়ও মেলে না
কুঁড়ি কিংবা পাতা, ফোটে না কোন ফুল,
ভ্রমর উড়ে না, গায় না সুনাম ও গাথা
অবহেলা সয়ে গিরিখাদও আঁধারেতে ডুবে রয়।


চাঁদের ধবল স্রোতে কর দুগ্ধাবগাহন
কত মেঘবারি যাচে সদা তোমার শরণ
না পাওয়ার বিরহে কাঁদে নদী কলকল
এত কাছে পেয়ে তোমায় সাগরকেই টানে চাঁদ, কেন?
হে পাহাড়, হে মহান, এমনি তোমার জাত্যাভিমান!