সূর্যোদয় আর অস্তাগমনের আগে পরে
কত বোধ জাগে, কত না জীবনের আবেদন!
আবিরাকাশে কুলায় ফেরা পাখিদের অবিনাশী চক্কর,
ভক্তের নিবেদন, পাক-পয়জারের ঘনঘটা –
সবই যাপন কালের খুচরো কেতা।


অশনি সময়ের পাতা ঝরে ঝুরুঝুরু,
নির্বিকার মহাকাল তৃষিতের তৃষায়।
অনন্ত অসীমের অলস পদবিক্ষেপে
গরিয়সী জেগে ঘুমায় আপন বিভায়,
দিবানিশি কাটছে সুতো কালের বুড়ি।


সেই সব রাত্রিময় ঠিকানায়
ঠাঁই করে আছে যাপনের নির্মম বোধ,
জাগতিক কুজ্ঝটিকার বেশে রহস্যের চাদরে ঢাকা
অনাদিকালের চিরন্তনী বিধিলিপি।
জলাধারে সিঞ্চিত প্রতিভায় প্রাণের স্পন্দন –
ঝিকিমিকি ছন্দ, উর্বশী নাচন,
দিবস ও রাত্রির বিভাজনে অনন্ত প্রাচীর বোনে
মহাকালের অদৃশ্য মাকু।


ব্যস্ততার নেই কিছু তার, সে তো তোমার আমার!
যাপনে বিলাসে ব্যস্ততা নেই কালের ও ক্রমের।