অনেক কিছুই বলা হয় না, বোঝা যায় না জীবনে
ধরা যায় না আরো কত্তো কী! যেমন;
আপন ছায়া দেখে যেদিন ভূত বলে ভিরমি খেয়েছিলাম,
বলা হয়নি – দিদিমার চুনগোলা পানির কারিশমায়  
কী করে সে ভূত পালিয়েছিল। বুঝি না আজো;
মধ্যাহ্নের ভর দুপুরে যুবক রোদে‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌র পোষাক পরে
পৌনে ছ’ফুটের এই আমি এত্তোটুকু বামুন হয়ে যেতাম!
ধারাপাত মুখস্ত করতে করেত কী করে তোমাকে আত্মস্থ করতে হতো?


বলা হয়নি তোমার নিবিড় শ্বাসের উষ্ণ পরশ
কী করে আমার হৃৎস্পন্দন থামিয়ে দিতো
উল্কাপাতের চাক্ষুষ গ্রহণ কী করে বাড়িয়ে দিতো
ভিসুভিয়াসের অগ্নি দাহন, কাউকে বলিনি আজো।
প্রথম যেদিন তোমার তর্জনী আমার ঠোঁট ছুঁয়েছিল
তারপর আর তর্জনী কিংবা অনামিকা শুধু নয়
সেই ঠোঁট পেয়েছে তিল থেকে তিলোত্তমার আস্বাদন
তবু কি বলেছি সেসব কথা কোন দিনও?


বাবার ছেলে কী করে বাবা হয়ে উঠে –
সে গল্পের কিছুই বলা হয়নি কখনো,
ওদিকে প্রেমিকের স্বামী হয়ে উঠার কথা?
বিশ্বাস করো, সেই মশারী টানানো আর গোটানোর গল্পটাও -
আমি বেমালুম ভুলেই আছি, হজম করিনি,
ভুলে যে গেছি তা নয় কিন্তু!
স্মরণের ছেঁড়া দড়িতে মশারীটা আজো দোল খায়
তবু সবই তার বুঝে নিতে হয়, অনুভবে আত্মস্থ করতে হয়।