দেখছি কি হে বন্ধু আমি! এ কি বিস্ময় –
চিত্ত ব্যাকুল, এ যে ‘ওয়ান্ডারফুল’
পারছি কি আর থাকতে স্থির, ও-কী প্রাণেশ্বরী!


ছটফট করছে প্রাণ বইছে ঘনঃশ্বাস
চোখের তারা হচ্ছে বড়; এ কি সর্বনাশ
ব্যথা-সুখ জাগানিয়া অস্থির হা-হুতাশ!


হয়েছে আকাশ মেঘলা আজ – মনোচঞ্চল
আঁধার ঘনায় তোমার চুলের মতই
মনের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন তোমার বিরহেই।


উন্মন যাতনায় আহত পাখির ম’ত
অন্তর্জাল খুলে পেলাম পায়রা ঠোঁটে মে’ল
হতবাক, বিস্ময়ে আমি বনে গেছি ‘থ’!


সাধারণ ছবি – দেখেছি এমন কতই
ইলোরা থেকে বোস্তান, আকাশ নীলিমায়,
কাশফুল বনে কি’বা অজন্তার গুহায়।


এ ছবি তবে অধীর আমায় করছে কে’ন এত
তবে কি তা সুখের কষ্ট, না কষ্টের সুখ
নিরূপণ করতে পারছি না তা-ই!


বেলোয়ারির গণ্ড ছুঁয়ে ঝরছে হীরক-বারি
চুড়ির মাথায় থমকে আছে সাড়ে তিনটি ফোঁটা
কোন সে অনন্তের বার্তা হয়ে!


নিষ্পলক তাকিয়ে তায় –
ভাল লাগার ওই নির্যাস যে’ন ফুরাবার নয়
সাড়ে তিনটি ফোঁটা হয়ে ঝরছে শ্যমল-বাহু চুইয়ে!


- - - - - - - - - - - - -  - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৭৫) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।