নির্বাক, নাগরিক পাখিরাই হোক আপাত শব্দস্রোতা। আকাশে বুনে দিক অক্ষরমালা।
*
গোপনীয়তা শিখি তাবৎ ঝিনুকদের কাছে। কদাকার বালি দিয়ে মুক্তো ঢেকে রাখে। নিজেরা তলানি হয়ে থাকে।
*
যেদিন বুঝে গেলাম এইসব বিগ ব্যাং,
স্ট্রিং থিউরি, স্পিরিচুয়াল ক্যালকুলাস -সব
কিছুর রহস্য তার কপালের লাল টিপে জমা,
সেদিনই আমি দৌড়ে না পালিয়ে উন্মত্ত
বাতাসের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিলাম।
ছিলাম জলবিচ্ছিন্ন।
হলাম বর্ষাহত।
*
রক্তস্মৃতির ওপাশে ছিল গভীর শাদা ফুলের বন।
মানব মনের জন্য রঙটা বিপজ্জনক। অন্য সব
রঙ নির্দয়ভাবে প্রকাশ করে দেয়। সাহস
করে একদিন ঢুকতেই, জমাকৃত কামনা চলে গেল
সমস্ত ফুলকোষে। নিমিষেই তা হয়ে গেল
যন্ত্রনাময় কাঁটাবন।
*
তোমায় থেমে থেমে নয়, অনর্গল ভালবাসি।
*
প্রেমঝড়ের অবশিষ্ট ছিল দুমড়ে যাওয়া কিছু
স্মৃতিগন্ধের পাতা। কামক্লান্ত
চোখে তা বিকল্প বসন্তকাল বয়ে নিয়ে আসে।
নিষিদ্ধ বিষাদশরাব পানের জন্য আমার
পরে অপেক্ষায় আর কেউ নেই।
জ্যোৎস্নামাখা শব্দেরা এইখানে আছে।
তুমি এসো।
*
এই মেকি সভ্যতা আর ভদ্রতা থেকে একটু
দূরে দাঁড়িয়ে শাদা কাশফুল হাতে কেউ আমায়
ডেকেছিল। মৃত্যুর মাদকে আসক্ত বলে,
হেসে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম আর বলেছিলাম,
'গো হোম '।
*
বিধ্বস্ত স্বপ্নপাড়ায় হাঁটার নিমন্ত্রণ
পেয়েছিলাম। গিয়ে দেখি তা বধ্যভূমিকেও হার
মানায়। স্বপ্ন আত্মঘাতী না হলে এ অসম্ভব।
স্বপ্নমাদক, স্বপ্নবিলাস, স্বপ্নবিভ্রান্তি
এবং সবশেষে স্বপ্নলাশ।
সমাধি নিষ্প্রয়োজন। স্বপ্নদের জন্মই
কাফনে মুড়ে।
*
রাতগুলো অতিবাহিত হতে চায় নিজস্ব ধারায়, প্রেমবাক্য বিন্যস্ত হতে চায় নিজস্ব ভাষায়, চৈতন্যের কোষগুলো তাই ক্ষণে ক্ষণে আদিমতা হারায়।
*
ইচ্ছে হয়  নিশ্চিন্ত ঘাসফড়িঙকে বলি, আমার গল্পটা লেখো, তারপর একটু একটু করে ঘাসেদের ডগায় গল্পটা বুনে রেখো।
ফড়িঙজন্মের নিশ্চয়তা পেলে লাফালাফি বাদ দিয়ে, নিশ্চয়ই আমি জনমক্লান্ত মানুষের গল্প শুনবো।