মেঘের কাছে বর্ণমালা শিখতে গেলে সে পরী এঁকে দিল। যেমনটা জানি, শাদা পরী, লাল পরী, নীল পরী। সে জানালো ডানাকাটা পরীটার বেজায় অসুখ। ঐ পরীর জন্য আমার বুকপকেটে ছিল  কয়েকটা  জবাফুল । আমাকে দেখেই কেমন ভেংচি কাটল পরী। বললো, জবাফুল নিয়ে যাও। মৃত্য তারিখ বুকপকেটে নিয়ে ঘুরছ তুমি!! আমার তো মাত্র বেজায় অসুখ।
তারপরের দিনগুলোকে কেমন অনায়াসে আমি ধারাপাতের পৃষ্ঠা বানিয়ে ফেললাম। প্রতি পৃষ্ঠায় যত্ন করে কিছু বৃষ্টিও জুড়ে দিলাম। আমার ক্যানভাসভর্তি এত এত ঘুম সেঁটে আছে, তা দিয়ে চাইলেই ছেয়ে ফেলা যাবে মনুসংহিতা। আমি বাদলের অন্য নাম দিলাম জলবন। জলের গাছগুলিতে আমি লুকিয়ে রেখেছি গোপন কান্নাচিঠি। আমি সপ্তর্ষি দেখি না, উলুবনের শুকনো বকুল সেটাও বা কোথায়, আমি জানি না।
পরীটা কি কাঁদে?
আমার পরীটার বেজায় অসুখ।