অপ্সরা যাকে বলি সেই নেচেছিল প্রথম নাচ । উর্বশী বললেই যেন শুনি নূপুরধ্বনি , ঝুমুর ঝুমুর নাচ । স্বর্গলোকে নাচতে নাচতেই মেনকা , উর্বশী , রম্ভা সবাই হয়ে গেল স্বর্গবেশ্যা নারী । পুরাণে নানা রকম নারী আছে । স্বর্গবেশ্যা নারী , সতী নারী , ছলনাময়ী নারী , রহস্যময়ী নারী । পুরাণ থেকে নারী তুলে দিলেই তা আর পুরাণ থাকে না । তলোয়ার বর্ম ছাড়া পৌরাণিক পুরুষ নেই ,অথচ নারী নানাভাবে নারী । সকল নারী মিলে হয়ে গেল এক নীলাদ্রি । কল্পনার প্রথম সত্ত্বা , সেও নারী । ঈশ্বরী ।
বন্দনা ভুলে নারীকে পেতে ভেঙে এসেছি এলোপথ । সকল নারীর খোঁপায় বেঁধে দিতে চেয়েছি কলমিফুল । রক্তজবার দিকে তাকিয়ে ভেবেছি এত যে শোভা , পূর্বজন্মে তবে এও ছিল নারী । একাঙ্কিকা নারী । জন্মসূত্রেই নারী যেন নৃত্যসুর । নারী আজন্মই মৎসকুমারী ।