১
অনবরত মেয়ে পটায় ছেলেটা। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ছেলেটা ভাবে মেয়ে পটানোর কথা। খুব ভাল করে সে মেয়ে পটাতে পারে। একটা, দুটো, তিনটা করে সে মেয়ে পটাতে থাকে। আর তার খুব গর্ব কারণ এমনও হয়েছে কোন মেয়েকে পটাতে তার মিনিট দশেকের বেশি লাগে নি। তারপর তার যখন মেয়ে পটানো হয়ে যায়, তখন সে একা হয়ে যায়।
২
সৎ বলে লোকটার অন্য রকম ইমেজ আছে। অফিসে আজ অবধি সে ঘুষ খায় নি। কথা বলার সব রকম ধরণধারণ তার জানা। যারা তাকে খুব হিংসা করে, তারাও তাকে হিপোক্রেট বলতে পারবে না। কিন্তু লোকটা খুব একটা হাসে না। কারণ সে বিশ্বাস করে সৎ মানুষদের পদে পদে কষ্ট সহ্য করতে হয়, তার হাসা বারণ। এভাবে সে আরও বেশি করে সৎ হতে চেষ্টা করে এবং সে একদিন হাসতে ভুলে যায়।
৩
এক স্যার আমাদের ফিজিক্স পড়াতেন। এমনিতেই ফিজিক্স ব্যাপারটা কাঠখোট্টা। তাই স্যার চেষ্টা করতেন ক্লাসে যেন একটু অন্য আবহ তৈরি হয়। তিনি প্রায়ই প্রখ্যাত সব কবিদের কবিতা আবৃত্তি করতেন। তারপর আবার ফিজিক্সে ফিরে আসতেন। তার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল যাতে আমরা তাকে নিরস 'ফিজিক্স স্যার ' না ভাবি। তো রস আমদানি করতে তিনি ফিজিক্সের ভেতর সাহিত্য নিয়ে আসতেন। ভাবতাম বাঙালি এখনো বেজায় রসিক আছে। সাহিত্যের স্যার হয়তো সেই মুহূর্তে ঘুম ঘুম সাহিত্য থেকে ছেলেমেয়েদের মুক্তি দিতে দুম করে ফিজিক্স নিয়ে আসছেন।
৪
মেয়েটা বুঝতে পারে না আসলে কে তাকে প্রকৃত ভালোবাসে। সে পরখ করে দেখে কোন ছেলেটা তার হাসি এনে দেবে। মেয়েটা আজ অবধি সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি সব কিছু উজার করে সে কাকে ভালোবাসবে। এই বুঝতে না পারার একটা আলাদা মূল্য মেয়েটার জীবনে আছে।