নির্মানাধীন যতিচিহ্নের দোকান থেকে আমি উঠতি যতিগুলো সরিয়ে নিলাম। আমি ভেসে যাচ্ছি টানা শব্দশ্রমে। আর গাঁদা ফুলের অদ্ভুত মেকানিজমে তোমার মুখশ্রী হয়ে গেল একটা রূপকথার টানেল। নিয়ে নেওয়া যতিগুলো থেকে একটা যতি আমি সেখানে বসিয়ে দিলাম। আমি সমস্ত সন্ধ্যার গলায় পরিয়ে দিতে চেয়েছি পাতাহার। আর রাতকে আমি  শুঁকে দেখার জন্য রেখে দিয়েছি। জমতে জমতে আমার যতিগুলো পিরামিড হয়ে যায়। ভেজাপাতার জীবনী লিখছি একমনে। একটানা  ডেকে যাচ্ছে বনমোরগ। যেন বহুকাল ধরে শুয়ে আছি বিষাদের স্যানাটোরিয়ামে। যেন রোদ রোদ বর্ষা গায়ে লাগে।
আরও একটা যতি উধাও হয়ে গেলে ইচ্ছে করে আজরাইলের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলি। আমার সারল্য নামক নরোম পালক দিয়ে কিনে নিই আরও কিঞ্চিৎ আয়ু। এইখানে এসে একটু কর্পূর চাই। তারও পরে ইচ্ছে হবে কোন ব্যালাডের সাথে মিশে যাই। ইদানিং আর পাখি হতে চাই না। এক্সট্রা ক্রেডিট আর লোভনীয় নয় মোটেই।
ঈশ্বরের কাঁধে হাত রেখে আমি শেষ যতিটি পকেটে নিয়ে ঘুরবো। সাউন্ডপ্রুফ স্পিরিচুয়ালিটির জারিজুরি শেষ হলে আমি ঈশ্বরের হাতে শেষ যতি হিসেবে  একটা বিশাল দাঁড়ি ধরিয়ে দেব।
আশা করা যায় নক্ষত্রবাগানে যতিবিভ্রম হবে না।