জন্মেছিল রঙের অহংকার নিয়ে। কেউবা ছিল পথের পরে শুয়ে। আবার কেউবা ছিল আলতো করে নুয়ে। দেহভরা গয়না নিয়ে কেউবা আবার হাসতো দুলে দুলে। আকাশপরীর থেকে ফুলেরা শাপলাকুড়ানো সকালের গল্প শুনতো। আর প্রতিবেলা গল্পশেষের কালে ফুলেরা বাতাসের গায়ে ভাসিয়ে দিত তাদের পাপড়ি থেকে দু একটা। ফুলবাগানের মন খারাপ হলে ফুলেরা মিলে তাকে স্বান্তনা দিত। তাদের ভেতর কেউ আবার হঠাৎ বলে উঠত,  ফুলখেকোরা বেজায় পচা।
ফুলেদের এই বহুমাত্রিক জীবনের সমান্তরালে ছিল বেজায় এক বাজপাখি। ফুলশরীর দেখে তার হিংসে হত খুব। ফুল ছিল বাজপাখিটার দুঃস্বপ্ন। একদিন ফুলেরা শুনলো, বাজপাখিটি মরে গেছে প্রবল শোকে। তার জন্য নরোম বিছানা দিতে আকাশপরীদের বলা হল।
ফুলেরা নিয়ম করে একবার সমস্বরে কাঁদত। তাদের শোক দিন দিন প্রবলতর হলো। ফুলেরা কালো হয়ে যেতে থাকল। কেউ আসল না তাদের কাছে। কেউবা আঁতকে উঠল দুঃখকালো ফুল দেখে। এক শীতের বিকেলে ঝরাপাতাদের সঙ্গ দিতে সব ফুলেরা সুইসাইড করলো একসাথে ।
তখন ফুলপ্রজাতি টিকিয়ে রাখতে গোলাপের জন্ম হলো।