অবেলায় বৃষ্টি শোনো। দূর থেকে দূরে কোন এক স্বপ্নচূর সন্ধ্যা তোমায় ডেকে যাচ্ছে। গাল বেয়ে বেয়ে টুপটাপ কুয়াশা ঝড়ছে। কোনদিন তুমি নদীতীরের ঘাস দেখো নি। অপহৃত স্পর্শগুলো কোলে তুলে তুমি পাড়ি দিতে গেলে সবুজ লোনাপথ। পিঠ ছাড়িয়ে চুল তখন নেমে নেমে কোন এক পরিব্রাজক হয়ে আরও এক সন্ধ্যার আকাঙ্ক্ষায় ভুল বানানের চিঠি হয়ে যায়।


অধিবাসে ছিল একপাল বুনো হরিণ। তুমি তা গুণে গুণে একাকার। কোন এক স্বপ্নগন্ধী সকাল পেরিয়ে আমাকে ডেকে নাও গোপন বেলিপথে। আমি গুনতে থাকি রাতনদীর কিনার। আরও কিছু ব্যক্তিগত গাঁদাফুলে সাজিয়ে দেবো বলে গত শীতকালটা কেটেছে মিউজিক ছাড়াই। দেখি চিলের নখে ঝুলে ঝুলে আকাশগঙ্গা ছুঁতে তোমার বাসনা। তারই সুঁই সুতো হাতে করে হাঁটছি। যদি খসে পড়ো, থাকবো।


আমার দুঃখলগ্ন নামের কিনারে এক ঝাঁক মাছের মতো কেমন পাড়ি দিয়ে যাও। বুকের যে পাশে এখনো স্বচ্ছ কিছু দেখো, সেখানে থাকো। আর ভরে উঠতে থাকে বর্ষাখাতা। প্রেমদগ্ধ হয়ে আক্রান্ত আমার চোখের কালো শাদা। চোখহীন ইদিপাস হয়ে কাঁটাগাছের বনে হারিয়ে যাই আসন্ন সংক্রান্তি দিনে। সমস্ত মেঘ দেখে দেখে আরও একবার অনীহা। একদম বৃষ্টি টৃষ্টি ধুয়েমুছে তবেই আসি। রেখো।