( রূপকথার প্যান্ডোরা হলো সেই নারী যার বাক্স থেকে উৎসারিত সমস্ত বিষাদ। সেই প্যান্ডোরার বাক্সের নামেই এই সিরিজের কবিতাগুলো। বিভিন্ন সময় লেখা স্বল্প, দীর্ঘ এবং কদাচিৎ পরম্পরাহীন লাইনগুলো,  যা উঠে এসেছে একান্ত শূণ্যতাবোধ থেকে, অস্তিত্বের যন্ত্রণা থেকে, সেই লেখাগুলো নিয়েই এই নিজস্ব ধারাপাত। মিথের সেই দন্ডিত সিসিফাস কিংবা বাসনাক্রান্ত  ইকারুসের মতোই প্যান্ডোরা হলো অতি কাছের একজন। )
*
সম্ভাব্যতার সরীসৃপ দিনগুলোতে হা করে খুলে যায় প্যান্ডোরার বাক্স।
*
পরশখানি অফলাইনে রেখে ভালোবাসার নিউজ ফিডে পড়ে আছ দিনরাত। এও এক সম্ভাবনা বটে। পয়েন্ট জিরো জিরো ওয়ান।
*
ব্যথাদের প্রাইভেসি সবসময়ই অনলি মি।
*
খোঁচাতে খোঁচাতে স্মৃতিতে গ্যাংগ্রিন ধরে গেছে .....
*
আজ কি বার কিংবা কত তারিখ? এ ধরণের সিলি কোয়েশ্চেন তো বটেই, বস্তুত জিরো আওয়ার থেকেই উৎসারিত সমস্তু বিভ্রান্তি।
*
চাঁদরাতের অসংলগ্নতা থেকে শুরু করে ব্যাগবোঝাই মন খারাপ নিয়ে ফের চলে আসা। যেন কামিনীগাছের গলা ধরে কাঁদলাম একবেলা।
*
মনে হয় না কেউ আর কানামাছি খেলে। আমি ছাড়া সবাই বোধহয় যাকে পাওয়ার কথা, তাকে ছুঁয়ে বসে আছে।
*
স্ট্রিট গার্ল কখনো কারও দিকে সোজা তাকায় না। সে দেখে শুধু তাকে ছাড়া সবাই সেরে ফেলেছে ক্যান্ডেললাইট ডিনার।
*
দুঃখবিয়োগে আমাদের খুব একটা উৎসাহ নেই। তাতেই বোঝা যায় আমাদের আনন্দেরা এখানেই থাকে।
*
যুতসই একটা বিকেল দেখে হাঁটতে বেরিয়েছি। অথচ শুনছি সবাই যেন বলছে শুধু অস্ত্রপচার বিষয়ক কথাবার্তা। একটা সুঁচ, তাড়াহুড়ো করে থ্যাঁচ করে ঢুকিয়ে দেওয়া এবং বের করে আনা। সন্ধ্যাটা বাদ গেল, সরাসরি রাত। কেন প্রতিদিন এত হয়রান হতে যাই?