মানুষের প্রথমে একটা নিখাদ মুখ ছিল
তারপর সেই মুখের উপরে
সবার একটা করে মুখোশ তৈরি হলো।
আরও পরে, সেই মুখোশ ঢাকতে গিয়ে
মুখোশের উপর নতুন একপ্রস্থ মুখ এলো।
একেই বোধহয় আজকাল লোকে থ্রি  ডাইমেনশন বলে।


চাকার ঘর্ঘর আর আগুনের কলাকৌশলে
মানুষ সভ্য জীবে পরিণত হলো।
তারপর লাগামহীন গতি আর অনিয়ন্ত্রিত আগুনে
তৈরি হলো ফলস্ প্যারাডাইস।
তবে মানুষ দেখাতে চাইলো, তারা ভুল ছিল না
তাই কিছু সভ্য চাকা আর স্থির আগুনের ছবি
তারা জাদুঘরে রেখে দিলো।
থ্রি ডাইমেনশন।


মানুষ নিজে এবং যা সে সৃষ্টি করে যাচ্ছে
কসমিক শূণ্যতার কাছে সবই অর্থহীন।
সেটা বস্তুনিরপেক্ষ।


আনন্দটা আরেকটু দীর্ঘকালীন হলে,
মানুষই হাসে।
মনে হয়, যতো ঘটেছে অনর্থ -
সবই হিট অফ দ্য মোমেন্টে।