চান্দ্রেয় ব্যথার কথা যে আমি প্রতিদিন ভুলে যেতে চাই। অথচ এখানেই বসে আছি।বন্ধ চোখের স্বপ্নরঙা শীতলপাটিতে তবু কিছু স্থির সময় মেলে।  মসৃণ আকাশ বেয়ে বেয়ে লুটোপুটি খেলে যে ব্যথাদল তারা কবে যেন মিষ্টি করে কামড়ে দিয়েছিল বুকে। তারপর থেকে আমার মুঠি শিথিল। কখনো গোপনে, কখনো চাঁদ, সাপলুডুর খোপ,  হরিণের বন সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে এই খসে যাওয়া ব্যথা নামের মনিহার গলায় পরে হেলেদুলে চলেছি। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। এর আগে ছিলাম ছায়ানর্তকীদের পানশালায়। সন্ধ্যা এলেই যেখানে সেতার বেজে উঠতো একসাথে অনেকগুলো। গাছেদের অঙ্কুরোদগমের মতো সেই সুর ক্রমে চড়াও হতে হতে একসময় ঘর ফুঁড়ে চলে যেত। বহুদিন হলো যাই নি ওদিকে। সবুজ এক ছায়ানর্তকীর চিঠি পাই মাঝেমাঝে। চান্দ্রেয় ব্যথার গল্প কিছু লিখে পাঠাই তাকে। প্রবল উৎসাহী হয়ে একদিন সে বায়না ধরে আজ তাকে চন্দ্রাহত আনন্দজীবনের কৌশল কিছু কিছু শিখিয়ে দিতেই হবে।
এই উদ্ভট বায়না শুনে পরিমিতিবোধে নতুন করে আবার আক্রান্ত হই। সবুজ নর্তকীর স্থান সংকুলানের ব্যাপারে চাঁদের বুড়ির কাছে আগাম জানিয়ে রাখা ভালো। এই রকম হরেক নর্তকী চান্দ্রেয় পৃষ্ঠেও যদি থাকে, তবে পুরোনো বান্ধবীর নিঃসঙ্গতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে না। ভয়টা শুধু আমাকে নিয়েই। হতচ্ছাড়া কোন মৃদু সান্দ্রতার সন্ধ্যায় যদি ইচ্ছে হয় পুনরায় সেই ভগ্নমাচার পানশালায় ফিরে যেতে?
ব্যথাদের কাছে তাহলে আমার মৌলিকতা কোথায়?