‘ And realized I'd loved you in the fall,
And then the cold came, the dark days when fear crept into my mind...
You gave me all your love and all I gave you was goodbye.’
(Taylor Swift , song: back to December )


এখানে তাপমাত্রা কখনো হিমাঙ্কের নিচে নামে না, শূণ্যের কাছাকাছিও পৌঁছায় না। শীত বরাবরের মতো থাকে আয়ত্তের ভেতরেই। আর এর মধ্যেই সকল বরাভয়, উত্তরশীতের সমস্ত আনন্দ সংবাদের নিশ্চয়তা।
তবু কল্পনায় দিনে দিনে অনেক তুষার জমে। স্তুপীকৃত তুষারের ভেতর দিয়ে উঁকি দেয় শীতনিদ্রার স্বার্থপর আকাঙ্ক্ষা। বেড়ে চলে হিমবাহ, কনকনে রাত্রির গতিময়তা। পৃথিবীর সমস্ত ক্যালেন্ডারের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার মাসে আমরা কি নিজেদের করতে পারতাম না আরও একটু অরক্ষিত? আমরা কি ডিসেম্বরের নামে নিজেদেরই শোনাতে পারতাম না ঘুমপাড়ানি গান? ব্যক্তিগত বরফের চাঁইয়ে অসাবধানে ছোঁয়াছুঁয়ির দরুণ অন্তত সামান্য ক্ষত কি তৈরি হতে পারতো না?
শীতের মানচিত্র এলোমেলো হয়ে যায়। সেখানে এত এত সাবধানতার মাধ্যম আর শীতপোষাকের আড়াল নিতে গিয়ে  কিছু লজ্জা এসে কি সেই চির সাবধানতাকে  বিদীর্ণ করে দিতে পারতো না? ঝরাপাতাদের বুকে নিয়ে যে ঋতু হয়ে ওঠে একাকী এক পরিচ্ছন্ন শব, নীলিমার সুরক্ষিত উষ্ণ দূরত্বে বসে তাকে দেখি অপেক্ষমাণ এক গোরখোদকের রূপে।
হিমের শেষবিন্দু ভাগ করে দিয়ে নিজের তৈরি সমাধিতে সে প্রবেশ করবে। অভিযোগহীন চোখে, প্রকৃত শবদেহের মতো সন্তপর্ণে।
আর তোমার কথা আমি তাকে বলি নি কিছুই। সে সবটা জানে। শুধু সে -ই কিছুদিনের জন্য তোমার সমস্তটা আমার পাশে এনে আলতো করে রাখে।
বলা হয় না কখনো কিছুই। তবু, ডিসেম্বর সবটা জানে।