হাজার বছর পরে খুঁজে পেয়েছি তাহাকে
পৃথিবীর সব দেশ-নদী পাহাড় পেরিয়ে
জীবনান্দের প্রিয় রূপসী এ বাংলার বাঁকে
অনেক খুঁজেছি তাকে ক্লান্ত-বিষাদ এড়িয়ে
ডুবুরীর মতোন একাকী দিবস ও রাত্রিতে
নীলাভ সমুদ্র থেকে ঘন তৃণ-অটবীতে।


প্রেম আর নীলিমার শব্দে কবিতার সুর
সুনিপুণ ঝংকারে হৃদয়ে তার বেজে ওঠে
আনমনে তাকেই দেখেছি দাঁড়িয়ে অদূর
নির্সগের সব রঙ ঝরে তার স্মিত ঠোঁটে-
শিরিশের দেহে ঝরে হিম শিশির যেমন
তারপর সেও দেখেছে তার পৃথিবী কেমন।


স্বাতী নক্ষত্রের রাত শেষে ভোরের আবেশে
তরুণ সূর্যের নম্র-মৃদু সোনালী আভায়
নীলাম্বরী শাড়ীর আঁচল উড়িয়ে বাতাসে
কপোতীর মতো সেও উন্মনে খুঁজেছে আমায়;
যেমন করে তারে খুঁজেছি নির্ঘুম অন্তরে-
অবশেষে মিশি দু’জনেই বাংলার প্রান্তরে।


=====================
==পিংনা,জামালপুর,৫-১২-১৯৯০.♣