যখন শিকু ছোট,এক পাঁ দু পা হাঁটতে শিখেছে,
তখন তার টেনে টেনে কথা বলার ধরনটা ছিলো অসাধারন;
ভালোলাগতো তার সেই কোমলতা!
শিকু নামটা দিয়েছিলো ওর মা,
তবে তাতে অামার অাপত্তি ও ছিলোনা;
অামি কারো অধিকার কেড়ে নিতে পারিনা!
সকালে শিকু ঘুম থাকতেই অফিসে যেতাম!
দুপুর না হতেই একটা টেলিফোন,
ধরতেই শুনতে পেতাম,পাঁ,পাঁ,!!!
যেন শিকুর এই ডাকটা শুনতেই,
সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে হৃদয়;
রাতের বেলা বাড়ি ফিরে দেখতাম শিকু ঘুমিয়ে অাছে,
অামার অাদর থেকে কিছুটা বণ্চিত হত সে!
তবু অামিও ভালোবাসি শিকু কে!
নিয়তি বাবার অাদর গুলো খেয়ে ফেলে;
তারপর শিকু ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো,
যখন ওর বয়স পাঁচ বছর!
তখন একবার মেলায় নিয়ে গিয়েছিলাম!
শিকু সব বাচ্চার মত পুতুল ভালোবাসতো!
শিকুকে নিয়ে একটি পুতুলের দোকানে বসে পুতুল দেখছিলাম!
হঠাৎ একটা ফোন পেয়ে অামি কথা বলতে শুরু করলাম!
ফোন কেটে দেখলাম শিকু পাশে নেই!
বুকটা ধরফর করতে লাগলো,
অামি শিকু বলে ডাকতে শুরু করলাম!
হাজার মানুষের মধ্যে কোথায় শিকু, কি ভাবে পাবো তাঁকে,
তবু পাগলের মত ছুটছি, শিকু, শিকু বলে ডাকছি!
অাকাশে,অন্ধকার বাতাসে অামি যেন ভাসছি,
তখনকার সেই করুণ চিৎকার অামার এখনো মনে অাছে,
পেছন থেকে শিকু জড়িয়ে ধরে বললো,
বাবা কাঁদছো কেন?
অামি হারিয়ে যাইনি তো!
সেদিন শিকু কোথায় গিয়েছিলো,
কেমন করে এসেছিলো!
তা অামি অাজো জানিনা!
ছোট মেয়েকে ফিরে পেয়েই অাত্মহারা!
সেই শিকুর বিয়ে অাজ!
বর এসে গেছে!মাত্র কিছুক্ষণ অাছে সে!
এই তো জীবন!
যেখানো অামি অাজো অচেনা,অজানা;