ইতিহাসের ছায়াবৃত্তে দাড়িয়ে সে মেয়েটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে
বুঝতে সে পারে না জ্যামিতি না পরিমিতি?
এ শহর লুম্পেন দের আঁতুড় ঘর
অবলুণ্ঠিত হয় তার লজ্জা-শরম
মৃত্যু হয় এক সরল কস্তূরীর
উদরের অসহ ক্ষুধা নল ভোগ করে তার,
উরুর ব্যথা রাক্ষসের করাল চুম্বনে।


মনের ক্যানভাসে তুলি দিয়ে আঁকা সে পুতুল ঘর
হয়ে যায় স্বপ্ন-ভঙ্গ
ক্ষুধাতুর বক্ষের জঠর  জ্বালা নিয়ে যায় নীল রাজ্যে
এর পর প্রতি-দিন, প্রতি-রাত সপে দিতে চায় না মণ
তবু দিতে হয়  তার আপন ইজ্জৎ
তলপেটের শিরা-গুলি ছেঁড়ে মধু রাক্ষসের অতিপ্রসুক্তির টানে,
রক্তের অণুচক্রিকা  জমাট বাঁধে ফ্যালোপিয়ান নলের গভীর ক্ষতে,
তবুও দিতে হবে আরও-আরও বেশী ক্লান্তির ক্ষমা নেই ওদের কাছে।


মন ঘুমিয়ে থাকে শরীরের যৌনভাষে
ইচ্ছার দাম নেই বুকের পেশীর ভাঁজে
কখন সে মরদ  প্রাণ-হীন শরীর-টাকে  
নিয়ে করে উন্মাদের প্রলয় নাচন
এই শরীর খোজে না উষ্ণতা মেকি মত্ত আদরে
তবুও করতে হয় নাটক ভুল মন-ভোলানো শীৎকারে
এ মেয়ে আজো বোঝে না এই শরীরের জ্যামিতি না পরিমিতি?


চাঁদের কলঙ্ক আছে  এ দায় কার?
যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ মেলে না হিসাব
ইতিহাসের ছায়াবৃত্তে দাড়িয়ে সে মেয়েটি।।