তত্ত্বজ্ঞানী বসেছেন ধ্যানে সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনে
মহাজগতের মহাশূন্যের সীমানা সন্ধানে।
পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তাঁরা, নক্ষত্র, ছায়াপথ
কয়েক যোজন আলোকবর্ষ দূরের ভাবনা
খেলা করে যায় তাঁর মাথার ভিতর।


সংখ্যা তত্ত্বের হিসেব, সৃষ্টির সূচনায়,
আপেক্ষিকতায় কিংবা আণুবীক্ষণিক মতবাদে
তত্ত্বজ্ঞানী জপে চলেছেন মহাশূন্যের মহা দিগন্তের মহামন্ত্র,
তাঁরায়-তাঁরায় আকর্ষণ আর বিয়োগান্তের গল্প,
ছায়াপথ গতিময় আকাশ গঙ্গার বানভাসি সংহারে,
উল্কারা ছুটে আসে নিখিল বিশ্ব চুম্বনে, নক্ষত্র দিশাহারা
সৃষ্টির আর ধ্বংসের সন্ধানে, মায়া-ভরা  মহাজগৎ
অবিচল মায়ার নিবিড় বন্ধনে।


সন্ধ্যা ঘুমিয়ে পড়ে রাত্রির বুকে, তাঁরারা করে
মিটি-মিটি খেলা সপ্তর্ষিমণ্ডল, কালপুরুষ, কল্পলোকের নক্ষত্রমালা
আকাশের ক্যানভাসে  তুলি দিয়ে আঁকা
বিশ্ব জ্ঞানী বিভোর হয়ে ভেবে চলেন বিশ্ববিধাতার শিল্প নৈপুণ্য
আর জপে চলেছেন সৃষ্টির রূপ মোহিনী ধ্যান মন্ত্র তার নিশ্বাসে প্রশ্বাসে।


এই ভাবে চলতে কি পারে এই মহাজগৎ, যোগীর সাধনা?
বিশ্ব জ্ঞানীর ধারনা একদিন সব কিছু আছড়ে পড়বে
পৃথিবীর পাঁজরের উপর,স্বর্গ, মর্ত, পাতাল জুড়ে চলবে ধ্বংসের
প্রলয় নাচন, দিশেহারা মৃতরা  উঠবে কেঁদে আর মৃত্যু দূতের
অট্টহাসিতে ধ্যান ভঙ্গ হবে মহাযোগীর, বিশ্ব জুড়ে নেমে
আসবে মহাশূন্য আর মহাশূন্যের ইতিহাস কাঁধে নেওয়ার জন্যে
থাকবে না কোন  আদি পুরুষ কিংবা নারী, সেদিন কবিত্ব হীন বিধাতা
বসে রবেন নীরবে নিভৃতে।।