তোমার উনপাঁজরে বক্ষের উপর কালো ছায়ার বাঘ নখ খত,
নাকারদা শরীরের নাঙ চিত্র, খোঁজে আজন্ম অতৃপ্ত লুম্পেনরা;
এ যেন নিয়ন আলোর বাতিতে ধূসর মেরু হীন শহরের
কামোগ্র মদন রূপ।
তুমি যতই জ্বালাও ত্রিফলা বাতি স্তম্ভ, এ অন্ধকার ঢাকতে পারবে কি?
আলোর বিপরীতে যে শরীরী নাপাক ছায়া গুলো নাচতে থাকে,
তারাই নিঋতি, নালায়েক শহরের ইতিবৃত্ত ক্ষুপরে খেতে চায় কাঁচা রক্ত মাংস।


এই তো সেদিন রাত্রির প্রাক প্রহরে ঘরে ফিরছিল ফিরিঙ্গী দুই যুবক-যুবতি
উদগ্র কালো ছায়ারা, কি ভয়ংকর কদর্য রূপ তার!তাড়া করে ফেরে
শহরের আনাচে কানাচে মৃত্যু দ্যূতের মতন,
অসহায় দুই নর নারী থরে থরে কম্পিত হয় তাদের
জীবন ভিক্ষার আকুতি,কোথায় এই বিরাট শহর ক্ষণিকের জন্যে দেবে
নিরাপত্তার নিবিড় বেষ্টনী?
মৃত্যু ছায়ার ভয়াল,বিমূর্ত টেলি শট নিথর শরীরের ক্ষণিকের মরণ যাত্রা,
নাচার প্রাণের হৃৎস্পন্দন টেঁকি ঘড়ির মতই চলে টিক টিক টিক।


তুমি যতই সাজাও তোমার শহর ত্রিফলা আলোর মালায়
অন্ধকারে ঘুচবে না কলঙ্ক এ দায় যে তোমার,
শহরের পাপ ধুয়ে মুছে ফেল পাপাত্মা বিনাশে ,
নতুবা কলঙ্ক,কদর্য, কুৎসা থাকবে তোমার আকাশে বাতাসে।।