তোমার মাতৃ সত্ত্বায় পরম ব্রহ্ম রেখে যায় তার ঈশ্বর কণা
অনন্ত সৃষ্টির ক্রমবর্ধমানে, তোমার গর্ভগৃহে আমার সঞ্চার,
কোষ বিভাজনে এক থেকে বহু, আর প্রতিটাতে ঢুকে থাকে
তোমার জ্ঞানেন্দ্রিয়,তোমার আত্মার নিবিড় বন্ধন,
তোমার অমৃত লোকের সাথে সংযোগ আমার গর্ভনাড়ির,
নিরাপত্তার নিবিড় বেষ্টনীতে আমি বেড়ে উঠি তিল থেকে তালে,
প্রথম যে দিন আমার হৃৎস্পন্দন চালিত হয় তোমার গর্ভগৃহে
তোমার মমত্ব ভরা অনুভাবনা তা স্পর্শ করে আর সঞ্চার করে
অফুরন্ত জীবনী শক্তি।


তোমার আদরের আবেশে, আমি অবগাহন করি, তোমার গর্ভকেশরে।
ক্রোমনালীর তৃষ্ণার্ত উদ্দীপনা সিক্ত হয় তোমার দেহ রসে,
আর ক্ষুদ্রান্ত্রের বুভুক্ষা নির্বাপিত হয় তোমার পাকরস পেয়ে,
আমি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠি বিরাট মহীরুহে,
গর্ভস্থ ভ্রূণ থেকে পূর্ণ সৃষ্টির অবয়বে।


পরম ব্রহ্ম আত্মার আত্মচিন্তন আর নিখিল বিশ্বের কর্মযজ্ঞে
তার সৃষ্টিকে পাঠালেন এক নান্দী ক্ষণে নাড়ির সংযোগ ছিন্ন করে,
জগতের প্রথম আলো তে দেখলাম তোমায় দুচোখ ভরে, মাতৃত্বের মেল বন্ধনে।


জঠরের ক্ষুধার্ত জ্বালা আর তৃষ্ণার্ত বুকে আমার পিপাসা কান্না,
জন্ম দিল তোমাকে ভালোবাসার অতলান্তিক শক্তি,
তাই ভালোবাসার ব্যুৎপত্তি বোধ হয় ক্ষুদ্রান্তেই।।